কালনা শহরের পুরশ্রী মঞ্চের হাল ফেরানোর আশ্বাস দিলেন পুরমন্ত্রী।
কালনা পুরসভার পাশেই এই মঞ্চ। শহরের সংস্কৃতিমনস্ক মানুষদের চাহিদা মেটাতে ১৯৮৮ সালে এর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধক হিসেবে সে সময় হাজির ছিলেন তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
দু’টি তল মিলিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসনের সংখ্যা ৭০০। যাত্রা, থিয়েটর-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় সারা বছর। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই প্রেক্ষাগৃহে শনিবার পর্যটন দফতরের উদ্যোগে এবং পুরসভার সহযোগিতায় সরস্বতী পুজো বিষয়ক একটি পুরস্কার বিতরণী সভা ছিল। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সেখানে ছিলেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে প্রেক্ষাগৃহের পরিকাঠামো নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এই মঞ্চটি শহরের গর্ব। অথচ, এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি, আলো ও শব্দের ব্যবস্থায় নানা গলদ রয়েছে। চেয়ারম্যানকে বলেছি, কী কী অসুবিধা এখানে রয়েছে আর তা দূর করতে কী করা যায়, তা নিয়ে দ্রুত একটি পরিকল্পনা জমা দিতে। এ ব্যাপারে বরাদ্দের অভাব হবে না।” |
মন্ত্রীর আরও আশ্বাস, শহরে পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার যে সমস্যা রয়েছে, তা ঘুচবে। চেষ্টা চলছে, নদীর জল পরিস্রুত করে বিলি করার। মন্ত্রী এ দিন আরও জানান, বাড়ি তৈরির জন্য কালনা শহরের গরিব পরিবারগুলির মধ্যে একশো থেকে দু’শো জনের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে পুরসভাকে। নালা তৈরির ক্ষেত্রেও পুরসভাকে সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কালনা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আলো এবং শব্দের সমস্যার পাশাপাশি দ্বিতীয় তলটিতে রয়েছে চেয়ারের সমস্যাও। এমনকী, এই ভবনের গঠন প্রণালীতেও রয়ে গিয়েছে ত্রুটি। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবীপ্রসাদ বাগ বলেন, “পুরশ্রী হলটিকে আধুনিক করে সাজাতে দরকার প্রায় কোটি টাকা।” পুরমন্ত্রী আসার আগে শহরে এ দিন হাজির ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ। এ দিন ওই দফতরের পক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার কাগজপত্র দেওয়া হয় পুরসভাকে। পুরসভার আলো বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর আনন্দ দত্ত জানান, ওই টাকা ১০৮ শিবমন্দির, গোপালবাড়ি, কৃষ্ণজি মন্দির-সহ নানা দর্শনীয় জায়গায় আলো লাগানোর কাজে ব্যবহার করা হবে। |