দক্ষিণবঙ্গের চার জেলার জন্য একটি বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার আসানসোলে এই কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন রাজ্যের দমকল ও অসামরিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান। আগামী দেড় বছরের মধ্যে এই কেন্দ্রটি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান এ দিন জানান, আসানসোলের কল্যাণপুর শিল্পতালুক সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হবে কেন্দ্রটি। তার জন্য আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই এক একর জায়গা রাজ্য সরকারকে দিয়েছে। ৭২০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে একটি তিন তলা ভবন নির্মিত হবে। সেখানে থাকবে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট দফতরের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্রও তৈরি হবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় সংক্রান্ত আগাম আভাস পেতে বসানো হবে আধুনিক যন্ত্রপাতিও। এই কেন্দ্রটি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা। চারটি পর্যায়ে ভাগ করে এই টাকা আসবে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ের ৭৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “এটি পশ্চিমাঞ্চল বিপর্যয় কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত হবে। দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলা বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলার যাবতীয় কাজকর্ম এই কেন্দ্র থেকেই চালানো হবে।” |
এই এলাকায় এই ধরনের একটি বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান জানিয়েছেন, রানিগঞ্জ-আসানসোল কয়লাঞ্চলটি ধস প্রবণ। একটি প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল থাকলে সহজেই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করা যাবে। তিনি আরও জানান, একই সঙ্গে নৌকাডুবি, ভূমিকম্প-সহ যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এখানকার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যে সব স্বেচ্ছাসেবক এখানে কাজ করবেন পরে তাঁদের দমকল বিভাগে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব এস এল ভগত জানিয়েছেন, অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এলাকার তরুণ-তরুণীদের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করা হবে। অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কেন্দ্রটি কাজ শুরু করবে। ৪০ জন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক সব সময়ের জন্য এই কেন্দ্রে মজুত থাকবেন। ইসিএলের খনি উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে এই কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকেরা সাযুজ্য রেখে খনি দুর্ঘটনার মোকাবিলা করবেন। এই কেন্দ্রে সব সময়ের জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স ও আধুনিক যন্ত্রপাতি-সহ বিপর্যয় মোকাবিলার যান রাখা হবে। |