মমতার পাশে থাকারই বার্তা দিলেন সনিয়া |
রাজ্যস্তরে জোটের মধ্যে যা-ই টানাপোড়েন থাকুক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে সব রকম সহযোগিতার বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। একশো দিনের রোজগার কর্মসূচির রূপায়ণ নিয়ে গত কাল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের এক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস তথা ইউপিএ সভানেত্রী। তাঁর পাশেই বসেছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী। অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চে বসেই সনিয়া-শিশিরের কথা হয়। পরে শিশিরবাবু জানান, “পশ্চিমবঙ্গে গ্রামোন্নয়নের প্রসঙ্গে ওঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সনিয়ার মতে, আগে রাজ্যে কেন্দ্রের সব গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের রূপায়ণ যথাযথ হচ্ছিল না। নতুন সরকার আসার পর ভালো কাজ হচ্ছে। তাছাড়া সনিয়া গাঁধী এও জানিয়েছেন, তিনি জয়রাম রমেশকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সব রকম সহযোগিতা করে চলেন এবং প্রকল্পগুলি রূপায়ণের জন্য রাজ্যের সঙ্গে যেন সমন্বয় বজায় রাখেন।” কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, হাইকম্যান্ডের নির্দেশ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী যথাযথ ভাবেই পালন করে চলেছেন। সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে মমতার সঙ্গে দেখা না হলেও রমেশ জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের জল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে দিল্লি খুশি। তার পর দিল্লি ফিরে গত পরশু পশ্চিমবঙ্গেরই ‘স্বার্থে’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেন রমেশ। আসন্ন বাজেটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় মোট তিন হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ের চারটি জল প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রণববাবুর কাছে আর্জি জানিয়েছেন রমেশ।
|
‘বঞ্চিত’ ক্লাবের তালিকা খতিয়ে দেখবেন মদন |
বিভিন্ন ক্লাব সরকারি অনুদান থেকে ‘বঞ্চিত’ হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসার পরে সেই ক্লাবগুলির তালিকা খতিয়ে দেখতে তৎপর হলেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। শুক্রবার মদনবাবু বলেন, “এত বিধায়ক। অনেকেরই এলাকার ক্লাব বাদ পড়ে গিয়েছে দেখছি। কোন কোন বিধায়ক বাদ পড়েছেন, তালিকা ধরে তা খতিয়ে দেখা হবে।” বাদ পড়া বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তথা কংগ্রেসি মন্ত্রী প্রমথনাথ রায়ও। এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সে কথার প্রসঙ্গ টেনে ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে প্রমথবাবু জানতে চান, “কেন সব বিধায়ককে ক্লাবের নাম পাঠানোর কথা জানানো হয়নি।” প্রমথবাবুর এই প্রশ্ন শুনে তৎক্ষণাৎ মদনবাবু তাঁকে তাঁর এলাকার ছ’টি ক্লাবের নাম পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। মদনবাবুর কথায়, “ওঁর এলাকার ছ’টি ক্লাবের নাম পাঠাতে বলেছি। দ্বিতীয় দফায় ওই ক্লাবগুলির অনুদান দেওয়ার চেষ্টা করব।” অনেক বিধায়কের এলাকা বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মদনবাবু বলেন, “বিধায়ক ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের মানুষ ক্লাবের নাম পাঠিয়েছিলেন। এত নামের মধ্যে অনেক বিধায়ক যে বাদ পড়ে গিয়েছেন, তা বোঝা যায়নি।” |