|
|
|
|
সরকারি গাড়ি নেবেন না পরিবহণমন্ত্রী আর সচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আয় বাড়ানো এবং খরচ কমানোর দ্বিমুখী কৌশলে পরিবহণ দফতরের হাল ফেরাতে চাইছে নতুন সরকার। সরকারি বাসে টিকিট পরীক্ষার উপরে জোর দিয়ে আয় বাড়ানোর দাওয়াই বাতলানো হয়েছে আগেই। এ বার খরচ কমানোর জন্য ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও’ নীতি নিচ্ছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এবং পরিবহণসচিব সরকারি গাড়ি নেবেন না। সেই সঙ্গেই সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পরিবহণ দফতরে গাড়ির পিছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়। এ বার গাড়ির অকারণ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জ্বালানির খরচ কমানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। পরিবহণমন্ত্রী শুক্রবার মহাকরণে জানান, দফতরের অফিসার-কর্মীরা হুটহাট গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান। এ বার থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি ছাড়া দফতরের কর্মী-অফিসার সদর দফতর ছাড়তে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বা কোনও আমলাকে স্বাগত জানাতে কিংবা অকারণে কোনও অনুষ্ঠানে ফুল কেনা, খাওয়াদাওয়ার খরচও বন্ধ করতে হবে।
ব্যয়সঙ্কোচের ব্যাপারে তিনি কতটা কড়া হতে চাইছেন, নিজেকে এই প্রক্রিয়ায় করেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমি অর্থাৎ মন্ত্রী নিজে এবং পরিবহণসচিব সরকারি গাড়ি নেব না।” সেই সঙ্গেই অন্য অফিসারদের বলে দেওয়া হয়েছে, বড় গাড়ির বদলে ছোট গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। যিনি এত দিন দৈনিক ২০ লিটার তেল খরচ করতেন, তাঁকে সেই খরচ পাঁচ লিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি কাঁচা পয়সার হিসেব রাখতে হবে। লগবুক করতে হবে প্রতিটি গাড়ির জন্যই।”
সরকারি বাসে আয় বাড়াতে বিনা টিকিটের যাত্রী ধরার জন্য বৃহস্পতিবারেই স্টপেজে টহলদার দল নামানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিন মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ক’টি জায়গায় টিকিট পরীক্ষার দল নামানো হল? মন্ত্রী জানান, এ দিন কলকাতার পাঁচটি এলাকায় সরকারি পরিবহণে ‘চেকিং’ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, “শুধু টিকিট পরীক্ষা করে পরিবহণে ৬০০ কোটি টাকার ভর্তুকি বন্ধ করা যাবে না। তবে ৫০ কোটি টাকা বাঁচলেও তো বাঁচল। সরকারি পরিবহণের এমন দশা যে, বেশি গাড়ি চালানো মানেই বেশি ক্ষতি। সেই দিকটাও দেখতে হবে।” বেসরকারি বাসের সমস্যা মেটাতেও উদ্যোগী হয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, বেসরকারি বাসে কন্ডাক্টরদের নিয়মিত নিয়োগপত্র দেওয়া এবং কমিশনের বদলে বেতন ব্যবস্থা চালু করা দরকার। কারণ রেষারেষির দৌড় থেকে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এই সব ব্যাপারে আলোচনার জন্য তিনি এ বার বাস-মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি। |
|
|
|
|
|