খোঁজ মিলল বাংলাদেশি জলদস্যুদের হাতে অপহৃত ১০ ভারতীয় মৎস্যজীবীর। হদিস মিলেছে নিখোঁজ ট্রলার ‘এফ বি তারা মা’-রও। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাগেরহাট জেলার সুন্দরবনে শরণখোলা রেঞ্জের শেলারচর ক্যাম্পে একটি ট্রলার থেকে অপহৃত দশ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার বাংলাদেশের দুর্ধর্ষ জলদস্যু গামা-র বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায় এঁদের। কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক রাহুল মজুমদার জানিয়েছেন, ওই মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের বন দফতরের হেফাজতে রয়েছেন বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মিহির কুমার দো বলেন, “ট্রলারের লোকজন নিজেদের বাংলাদেশি জেলে পরিচয় দিয়ে আমাদের জানান, জলদস্যুর কবল থেকে তাঁরা মোট ১৯ জন মুক্তি পেয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জন ভারতীয়কে এখানে নামিয়ে দিতে বলা হয়েছে।” এঁরা হলেন, নারায়ণ দাস, নয়ন সিংহ, হরিধন দাস, রতন দাস, শচীন্দ্রনাথ দাস, সুদর্শন দাস, বিভূতি দাস, সূর্য দাস, রাজু দাস ও শ্রীকৃষ্ণ মাইতি। তাঁদের সবার বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপে। মুক্তি পাওয়া মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, জলদস্যুর হামলার সময় তাঁদের দুই সঙ্গী ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। তাঁদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি ভারতীয় হাইকমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককেও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিহিরবাবু।
শুক্রবার সকালে ট্রলারের পাইলট নারায়ণ দাস বাংলাদেশ থেকে ফোনে যোগাযোগ করেন কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতির সঙ্গে। বিজনবাবু বলেন, “বাংলাদেশের বাগেররাট জেলায় শরণখোলা থানা এলাকায় শেলারচরে নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা রয়েছেন। সকলে ভাল আছেন।” শুক্রবার মাছ ধরার সময় বাংলাদেশি জলদস্যুদের কবলে পড়েন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। জলদস্যুদের গুলিতে প্রাণ যায় তিন জনের। কয়েক জন মৎস্যজীবী-সহ ‘এফ বি তারা মা’ নামে ট্রলারটি নিয়ে যায় জলদস্যুরা। বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলের জোনাল কম্যান্ডার এম সাঈদুর রহমান শুক্রবার জানান, ২৯ জানুয়ারি পূর্ব সুন্দরবনের চাপড়াখালি থেকে খালি অবস্থায় ‘এফ বি তারা মা’ ট্রলারটি উদ্ধার হয়। সেটি বর্তমানে তাঁদের হেফাজতে রয়েছে। |