পেট্রল পাম্পে ডাকাতির ঘটনায় এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে রেজিনগরের ওই পেট্রল পাম্প থেকে চুরি যাওয়া টাকার কিছুটা উদ্ধারও হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নদিয়া-মুর্শিদাবাদ সংযোগকারী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’পাশের পেট্রল পাম্পগুলিতে এর আগেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ওই পাম্পগুলোতে কোনও রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে না। ২০১০ সালে জাতীয় সড়কের পাশের ১৯টি পেট্রল পাম্পে ডাকাতি হয়েছে। বেশির ভাগ পুলিশ ডাকাতির কিনারা করতে পারেনি।
মুর্শিদাবাদ জেলা পেট্রল পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রামপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১০ সালে নদিয়ার বহু পেট্রল পাম্পে ডাকাতির পরে এলাকায় পুলিশি টহল অনেকটাই বেড়েছিল। এখন আবার সেই পুরনো অবস্থা ফিরে এসেছে। আগে প্রতিদিনই পুলিশ পাম্পে ভিজিট করত। এখন সপ্তাহে মেরেকেটে দুই থেকে তিন দিন পুলিশ ভিজিট হয়। ফলে পাম্পের সুরক্ষা প্রায় নেই। রাতে যে টাকা আসছে তা ক্যাশবাক্সের পরিবর্তে সোজা লকারের ভিতরে ঢুকিয়ে রাখতে হচ্ছে। সুরক্ষার জন্য বিশেষ সাইরেনের ব্যবস্থাও করতে হয়েছে। বছর দুই আগে বলরামপুর পেট্রল পাম্পে ডাকাতি হয়। আর বছর চারেক আগে বেলডাঙা পাম্পে একাধিকবার ডাকাতি হয়েছে। তার পর থেকে আমরা রাতে সজাগ থাকি।” মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “রেজিনগরের ঘটনায় এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত ডাকাতির কিনারা হয়ে যাবে।” রাতের অন্ধকারে পেট্রল পাম্পের সুরক্ষা প্রশ্নে তিনি বলেন, “নজরদারি রয়েছে। তবে তা আরও বাড়ানো হবে। পাম্পগুলোতে সিসিটিভি বসানোর ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। ম্যানেজার ও কর্মী নিয়োগ করার ব্যাপারেও সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে পাম্প মালিকদের। রাতে পাম্পগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।” |