প্রথমার্ধেই হয়ে গিয়েছিল গোলটা। তারপরে আর তা শোধ করতে পারেনি বহরমপুর। বহরমপুরকে সেই খেলায় তাদের মাঠেই হারিয়ে আসার স্মৃতিটাই এ বারেও জয়ের মনোবল বাড়িয়ে দিচ্ছে বেলডাঙা কোচিং সেন্টারের। দলের মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ তারিক মোল্লার কথায়, “মাঠ চিনি না। দর্শকও অচেনা। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলটিকে ভালই চিনি। আর জানি, আমাদের দলের ১১ জনই জেলা স্তরের বিভিন্ন দলের নিয়মিত খেলোয়াড়।” বহরমপুরের বিভিন্ন ক্লাবেই খেলেন বেলডাঙার এই খেলোয়াড়েরা। অধিনায়ক তারিক নিজে বহরমপুরের নামী ক্লাব বালার্ক সংঘের অধিনায়ক। এ ছাড়াও, বহরমপুরের নামী ক্লাব হিন্দ, অভ্যুদয়, শিবাজিতেও খেলেন অন্যরা। তারিক বলেন, “আমরা সকলেই বেশ ভাল ফর্মে রয়েছি। বহরমপুরের ক্লাব পর্যায়ের খেলার পরে কেকেএম খেলেছি। তাই জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।”
দলের আর এক খেলোয়াড় ইকবাল হোসেন বলেন, “কেকেএম ফাইনাল খেলার জন্য তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। তাই সুযোগ যখন পেয়েছি, তখন আমরা নিজেদের উজার করেই দেব।” তবে তাঁরা মনে রেখেছেন, ব্লক পর্যায়ের যে খেলায় তাঁরা বহরমপুরকে হারিয়েছিলেন, সেই খেলাটা ছিল নিয়মরক্ষার। কারণ ওই খেলার আগেই দু’টো দলই চূড়ান্ত পর্বে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এ বার চূড়ান্ত লড়াই।
বেলডাঙার কলেজ মাঠে শুক্রবারই অনুশীলন শেষ করেছেন তাঁরা। আজ আর বলে পা নয়। আবার রবিবার মাঠে নেমে হাল্কা অনুশীলন। তারিক জানান, ৪-৪-২ ভাবে দল সাজাবেন তাঁরা। তারপর খেলার গতিপ্রকৃতি দেখে তা পাল্টানো হতে পারে। তবে তাঁরা চান রক্ষণ পোক্ত রাখতে। বেলডাঙার খেলোয়াড়দেরও আজ সন্ধ্যায় অরঙ্গাবাদের একটি অতিথিশালায় পৌঁছে যাওয়ার কথা। দু’টি দল একই সঙ্গে থাকবে। বেলডাঙার খেলায়াড়েরা নিজেদের মধ্যে দু’দলে ভাগ হয়ে খেলেছেন। আলাদা করে পেনাল্টি শট নেওয়াও অনুশীলন করা হয়েছে। গোলরক্ষকদের বিশেষ করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া জোর দেওয়া হয়েছে শারীরিক ক্ষিপ্রতা বাড়ানোর উপরে। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলের সকলের খাওয়াদাওয়ার উপরেও কড়া নজর রাখা হয়েছিল। দলের অন্যতম কর্তা হাসানুজ্জামানের বক্তব্য, “দর্শনীয় ফুটবলই হবে। দু’টো দলই রীতিমতো তেতে রয়েছে।” |