হারের বদলা নিতে মরিয়া বহরমপুর একাদশ। ব্লক পর্যায়ের ফাইনালে ১-০ গোলে বেলডাঙার কাছে হেরেছিল তারা। এ বার কামদাকিঙ্কর গোল্ড কাপের ফাইনালে সেই বেলডাঙার বিরুদ্ধেই খেলা। বহরমপুরের সহ অধিনায়ক সাহেব সাহার বক্তব্য, “ব্লক পর্যায়ে ভাল খেলেও আমাদের হারতে হয়েছিল। কারণ আমরা গোলটা দিতে পারিনি। রবিবার সেই কাজটাই করতে হবে।”
ছাবঘাটির মাঠে এই ফাইনালে তাঁরাই কিন্তু জিতবেন বলে আশাবাদী বহরমপুর একাদশ। ভরসা সেই ব্লক পর্যায়ে ভাল খেলার স্মৃতি। আরও একটা কথা রয়েছে, এর আগে বহরমপুর কেকেএম ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলেনি। আর প্রথমবারেই তারা সোজা ফাইনালে। তা ছাড়া, দলে সুদীপ্ত ব্যাপারি, তারক রায়ের মতো ৫ জন এমন খেলোয়াড় রয়েছেন, যাঁরা জেলা দলে নিয়মিত খেলেন।
তারকবাবুর কথায়, “প্রথমে একটা গোলের জন্য ঝাঁপাব আমরা। একটা গোল পেয়ে গেলেই খেলার চেহারা বদলে যাবে। ব্লক ফাইনালে হেরেছি, তার বদলা নেব প্রতিযোগিতার ফাইনালে।” তবে ভাল খেলা, তিনি জানান, নির্ভর করে মাঠের পরিবেশের উপরে। সেই দিনের মানসিকতার উপরে। |
আর সেখানেই এই ফাইনাল ম্যাচটির পরিবেশ সাহায্য করবে বলেই মনে করেন তাঁরা। সেই দিন মাঠে থাকবেন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সেই সঙ্গে বিখ্যাত ফুটবলাররাও। তাঁদের সামনে ভাল খেলতে চাইবেন সকলেই। বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ারে চলছে অনুশীলন। তাঁদের বক্তব্য, ৪-৪-২ ধরনেই খেলতে অভ্যস্ত তাঁরা। সেই মতোই মাঠে নামবেন রবিবার। আজ সন্ধ্যার মধ্যে অরঙ্গাবাদ পৌঁছে যাওয়ার কথা তাঁদের। রবিবার সকালে সেখানের কোনও মাঠেই হাল্কা অনুশীলন করা হবে।
কেকেএম ফাইনালে এই প্রথম ফরাক্কার কোনও দল খেলছে না। ৮টি দলের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছে ফরাক্কার দু’টি ক্লাবই। আর তার বদলে ফাইনালে বহরমপুর-বেলডাঙার খেলা নিয়ে উত্তেজিত এলাকার লোকজনও। কেকেএম বহরমপুর কমিটির আহ্বায়ক তুহিন দাস বলেন, “এ বার এতগুলো দল যোগ দিয়েছিল, তার মধ্যে আমাদের এলাকার দল ফাইনালে উঠেছে। এ বড় কম কথা নয়।” তবে সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “ব্লক পর্যায়ের খেলায় কিন্তু ফুটবলের মান ভাল ছিল না। অনেকেই হলুদ কার্ড দেখেছিলেন। গোল্ড কাপের ফাইনালে চাই উন্নত মানের ফুটবল।” সেই খেলা দিয়েই দর্শকদের জিতে নেওয়ার চেষ্টা করবে বহরমপুর। |