বন্দরের সমস্যা নিরসন এবং নতুন বন্দর গড়ার কাজ ত্বরান্বিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রক। শুক্রবার হলদিয়ায় বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ারে রিভিউ মিটিংয়ে এই বিষয়েই আলোচনা করলেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়। তিনি এর পর বন্দর ও সালুকখালিতে ‘ডক-২’-এর প্রস্তাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন। জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান মদললাল মিনা, হলদিয়া বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান মনীষ জৈন প্রমুখ।
কিছুদিন ধরেই নাব্যতার সমস্যায় বড় জাহাজের চলাচল বন্ধ রয়েছে হলদিয়ায়। তবে মকুলবাবু বলেন, “আশঙ্কা অনেকটাই কেটেছে। ইডেন চ্যানেলে ইতিমধ্যে ৬টি জাহাজ চলেছে। ড্রেজিংয়ের জন্য জেলিংহ্যাম চ্যানেলকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” পলি তুলে কোথায় ফেলা হবে সে নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, বিধায়ক ও সাংসদের সহযোগিতার মাধ্যমে জমি লিজে নেওয়ার ব্যপারেও তিনি আশাবাদী। বন্দরের নাব্যতার সমস্যায় বিকল্প হিসেবে ট্রান্সলোডিং ব্যবস্থা চালু করা নিয়ে ফের তৎপরতা শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি। |
হলদিয়া বন্দরের বিকল্প বন্দর সালুকখালিতে গড়ার যে উদ্যোগ হয়েছিল তার শিল্যান্যাস হয়েছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এ দিন সেই প্রস্তাবিত বন্দর-২ এলাকা পরিদর্শন করে মুকুলবাবু জানান, নতুন বন্দরের জন্য সম্প্রসারিত রেললাইনের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে প্রযুক্তিগত কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। ১৯৬১ সালে পুরনো বন্দর গড়ার সময়ে জমিহারা কিছু মানুষ পুনর্বাসন ও চাকরির দাবিতে সম্প্রতি যে আন্দোলন শুরু করছেন, সে প্রসঙ্গে জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, “এটা প্রায় ৫৬ বছর আগের সমস্যা। আমি চাই না ওঁরা বঞ্চিত হোন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও মানবিক দৃষ্টিতে সমস্যাটি দেখবে।” অতিরিক্ত জেলাশাসককে সমস্যাটি বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে তা জানাতেও নির্দেশ দেন তিনি। |