মাওবাদী সন্দেহে মাস খানেক আগে লালগড়ের শালবনি গ্রাম থেকে ধৃত তরুণী রাইমণি সরেনের শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করল মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা আদালত। বৃহস্পতিবারই জেলা আদালতে জামিন মঞ্জুর হয়। জেলা আদালতের নির্দেশক্রমে শুক্রবার ঝাড়গ্রামের এসিজেএম রোহন সিংহ রাইমণিকে শর্তাধীন জামিনে মুক্তি দেন। এ দিনই বিকেলে আত্মীয়-পরিজনেদের সঙ্গে লালগড়ের ধরমপুর অঞ্চলের শালবনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেলেন বছর কুড়ির রাইমণি। রবীন্দ্র-মুক্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রীটি আজ, শনিবার ঝাড়গ্রাম শহরের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা দেবেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে শালবনি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পরেই অসুস্থ হয়ে রাইমণির মা
|
ছবি: দেবরাজ ঘোষ |
চাঁদমণি। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে তিনি মারা যান। এ দিকে, রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন ও খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত রাইমণির ঠাঁই হয় জেলে। তবে আদালতের নির্দেশে, ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় কিছুক্ষণের জন্য গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মায়ের মরদেহে শেষশ্রদ্ধা জানিয়ে আসতে পেরেছিলেন ওই তরুণী। তার পর ফের ঝাড়গ্রাম সাব-জেলে। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় আগেই রাইমণিকে জামিন দেয় ঝাড়গ্রামের আদালত। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা আদালত খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা দু’টিতেও তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।
অভিযুক্তের আইনজীবী কৌশিক সিংহের বক্তব্য, “তিনটি মামলার কোনওটিরই এফআইআরে রাইমণির নাম নেই। গ্রেফতারের সময়ে রাইমণির কাছ থেকে কিছু উদ্ধারও হয়নি। এমনকী তাঁকে আজ পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতেও নেয়নি পুলিশ। রবীন্দ্র-মুক্ত বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী হওয়ায় রাইমণির জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।” শুক্রবার ঝআড়গ্রাম আদালত থেকে বেরিয়ে রাইমণি বলেন, “পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই। পুলিশ আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, কিন্তু মাকে আর ফিরে পাব না, এটাই সবচেয়ে কষ্টের।” |