গোঘাট ১ ব্লকের বহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সমস্যায় |
গোঘাট ১ ব্লকের অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রগুলি থেকে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের পরিষেবা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই, ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় কাজ বন্ধও হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সপ্তাহ থেকে নকুন্ডা গ্রামের ১২৭ এবং ৪৩ নম্বর এবং গোঘাট গ্রামের ১৫৪ নম্বর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রটির রান্না বন্ধ। দিন তিনের মধ্যে আরও ৪০টি কেন্দ্রে রান্না বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন গোঘাট ১ ব্লকের সিডিপিও বিশ্বনাথ সেন। তিনি বলেন, “গুদামের অভাবে গত নভেম্বর মাস থেকে আর চাল, ডাল রাখার জায়গা নেই। সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্পটি বন্ধের মুখে। আগের অফিস-সংলগ্ন ভাড়া করা গুদামটি গত বর্ষা থেকেই এত স্যাঁতস্যাঁতে যে সেখানে থেকে চাল-ডাল দ্রুত নষ্ট হচ্ছিল। সেটিকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। গত পাঁচ মাসের উদ্যোগে নতুন গুদামের জন্য টেন্ডার ডেকেও পাওয়া যায়নি। অবশেষে মহকুমা প্রশাসনের দফতরে দিন পনেরো আগে যে গুদামের জন্য ন্যূনতম টেন্ডার পড়ল, সেটি গোঘাট ২ ব্লকে। সেটি কম পক্ষে দশ কিলোমিটার দূরে দশঘরা গ্রামে। বাড়ি ও গুদাম-লাগোয়া ওই গুদামে তদারকির অসুবিধা নিয়েও আমাদের আপত্তি আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল।” গোঘাট ১ ব্লকে মোট ২০৪টি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র আছে। ওই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রগুলির জন্য তিন মাস ছাড়া ৫০ টন চাল এবং ২৫ টন ডাল লাগে। শেষবার নভেম্বরে আসা মালপত্র জানুয়ারিতেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিছু কিছু কেন্দ্রে স্থানীয় কোন ছুটি বা উৎসবের কারণে চাল, ডাল বেঁচে গেলে বড়জোর সপ্তাহখানেক চলবে বলে ধারণা সিডিপিওর। গোটা বিষয়টি নিয়ে গোঘাট ১ বিডিও জয়ন্ত মণ্ডল জানান, “কাছাকাছি বিকল্প গুদামের ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। যত দিন না তা হয় দূরের গ্রামটাই ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে।”
|
রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা রাহুলের |
রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে পূর্বতন বাম সরকারের তুলনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। শুক্রবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে এক সভায় রাহুলবাবু বলেন, “সিপিএম যে লাইনে ৩৪ বছর রাজ্য চালিয়েছে, তৃণমূলও সেই পথেই হাঁটছে। সিপিএমের সঙ্গে এদের কোনও তফাতই নেই।” এই প্রসঙ্গেই রাজ্যে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর (শিশুমৃত্যু, কৃষক আত্মহত্যা, স্কুল-কলেজে গোলমাল) কথা উল্লেখ করেন বিজেপি নেতা। তবে সুশান্ত ঘোষের মতো আরও অনেক সিপিএম নেতার ‘সাজা’ হওয়া দরকার বলেও মনে করেন তিনি। নানা বিষয়ে মমতার নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে বিঁধলেও পুলিশ মহলে ইউনিয়ন করা যাবে না বলে সরকার সম্প্রতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে ‘সাধুবাদ’ জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। একই সঙ্গে আবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার খর্ব করা নিয়ে সরকার যে কঠোর পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছে, তার সমালোচনা করেছেন তিনি। টু-জি স্পেকট্রাম কাণ্ডে কেন্দ্র সরকার তথা কংগ্রেসকেও এ দিন একহাত নেন রাহুলবাবু। এ দিন সভায় বিজেপির হুগলি জেলা সভাপতি কৃষ্ণা ভট্টাচার্য-সহ জেলা নেতারা হাজির ছিলেন।
|
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারিগরী বিভাগের সহযোগিতায় বর্ধমানের মাধবডিহির কুমারপুর গ্রামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছ’মাসের কোর্সে দু’টি বিষয়ের কারিগরী শিক্ষা শুরু করল। ডিটিপি এবং ইসিজি কোর্স দু’টি জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ওই গ্রামে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক কাজি শাহানুয়াজ জানান, গরিব মাধ্যমিক পাস ছাত্র-ছাত্রীরা বিনা খরচে কোর্স দু’টি করতে পারবেন। তাঁরা নিজেদের জীবিকা অর্জন করার লক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারিগরী বিভাগ থেকে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
|
বৃহস্পতিবার ভোরে চুরি হয়ে গেল ডোমজুড়ের বেগড়ি গার্লস হাইস্কুলে। দুষ্কৃতীরা স্কুলের গেটের তালা ভেঙে অফিসঘরে ঢুকে পড়ে। ৯টি আলমারির তালা ভেঙে ভিতরের কাগজপত্র তছনছ করে তারা। কিছু জরুরি কাগজপত্র এবং কয়েক হাজার টাকা চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক রবিন ঘোষ। পুলিশ তদন্ত করছে।
|
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল জুজারসা পি এন মান্না ইন্সটিটিউশন-এর প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলন উৎসব। সারাদিন ধরে আয়োজিত হয় নানা অনুষ্ঠানের। সংগঠনের সম্পাদক ভোলানাথ কোলে বলেন, “স্কুলের জায়গার অভাব রয়েছে। আমরা জমি কিনে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়াও আমাদের উদ্যোগেই তৈরি হবে একটি অডিটোরিয়ামও।”
|
ক্রীড়ানুষ্ঠান বাঁইগাছিতে |
বাঁইগাছি তরুণ দলের উদ্যোগে সম্প্রতি আয়োজিত হল ক্রীড়ানুষ্ঠান। সংস্থারই উদ্যোগে একটি পৃথক অনুষ্ঠানে বাঁইগাছি প্রাথমিক স্কুলে আয়োজিত হয় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ১১৩ জন এতে যোগদান করে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। |