ঝামেলা বেধেছিল চুক্তি নবীকরণ নিয়ে। অবশেষে রেল বোর্ডের সার্কুলার আসায় হাওড়া স্টেশনে কুলি ও রেলসেবকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আপাতত মিটে গেল। শুক্রবার রাতে দু’পক্ষই কাজে যোগ দিয়েছে। রেলসেবকদের কাজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে রাতেই রেল বোর্ডের তরফে সার্কুলার পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাওড়ার ডিআরএম পার্থসারথি মণ্ডল।
কাজের চুক্তির সার্কুলার না-আসায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়া স্টেশনে রেলসেবকদের কাজে বাধা দিয়ে নিজেরাও কাজ বন্ধ করে দেন কুলিরা। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন বিকেলে কুলিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রেল-কর্তৃপক্ষ। পরে তাঁরা জানিয়ে দেন, রেল বোর্ডের সঙ্গে স্টেট ব্যাঙ্কের চুক্তি এবং রেলসেবকদের ফের কাজে যোগ দেওয়ার সার্কুলার হাওড়ার ডিআরএমে কাছে আসেনি। তাই রেলসেবকদের কাজ আপাতত বন্ধই রাখতে হবে। |
তার পরেই কুলিরা তাঁদের ধর্না তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেন। কিন্তু রেল-কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশের পরে প্রায় ১৫০ জন রেলসেবক হাওড়া ডিভিশনের এডিআরএম কমলকুমার পাত্রের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। রেলসেবকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমলবাবু। বৈঠকের পরে রেলসেবকদের সুপারভাইজার সুধাংশু সরকার বলেন, “সার্কুলার আসার পরেই আমেদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে রেল-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তাই আপাতত কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত মেনে নিলাম।”
তবে ওই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই রেল-কর্তৃপক্ষ ফের নির্দেশ দেন, রেলসেবকরা এ দিন থেকেই কাজে যোগ দিতে পারবেন। পার্থসারথিবাবু বলেন, “রেল বোর্ডের কাছ থেকে রেলসেবকদের চুক্তি নবীকরণের সার্কুলার এসে গিয়েছে। তাই ওঁদের কাজে যোগ দিতে বলেছি। বাধা এলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |