|
|
|
|
পাপুয়া নিউ গিনির উপকূলে ডুবল জাহাজ |
সংবাদসংস্থা • মেলবোর্ন |
ইতালীয় প্রমোদতরী কোস্টা কনকর্ডিয়ার ডুবে যাওয়ার স্মৃতি এখনও মেলায়নি। তার মধ্যেই আজ ফের আরও
একটি জাহাজ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ অন্তত ১৫০ জন। অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাপুয়া নিউ গিনি-র উপকূলবর্তী একটি অঞ্চলে ডুবে গিয়েছে এম ভি রাবাউল কুইন নামে ওই জাহাজটি। ইতিমধ্যেই যাত্রীদের মধ্যে ২০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগই ছাত্র ও শিক্ষক।
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, নাবিক এবং কর্মী-সহ জাহাজটিতে প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী ছিলেন। কত জন যাত্রী ওই জাহাজে ছিলেন, তা নিয়ে কিছু জানায়নি পাপুয়া নিউ গিনি-র সরকার। সরকারি উদ্ধারকারী দলের ক্যাপ্টেন নুরুর রহমান জানান, রেকর্ড না দেখে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। তবে, ক্যাপ্টেন রহমনের মতে এই সংখ্যাটা ৩০০-র আশপাশে।
পাপুয়া নিউ গিনি-র দ্বীপ-শহর কিম্বে থেকে জাহাজটি উপকূলবর্তী শহর লি তে আসছিল। আজ ভোর থেকে জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। লি থেকে ৫০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজটি ডুবে যায়।
পাপুয়া নিউ গিনি-র একটি সংস্থা স্টার শিপ ওই জাহাজটির মালিক। ওই সংস্থাটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খারাপ আবহাওয়ার জন্যই জাহাজটি ডুবে গিয়েছে। তবে, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার জন্য পাপুয়া নিউ গিনি-র বেশ কয়েকটি জাহাজ এর আগে ডুবে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উদ্ধারকার্যে হাত বাড়িয়েছে পড়শি রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া। একটি বিমান, তিনটি হেলিকপ্টার এবং ৬টি উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠিয়েছে অস্ট্রেলীয় সরকার। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে যে বিপদকালীন সঙ্কেত পাঠিয়েছিল, তা প্রথমে পৌঁছয় অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র নিরাপত্তা সংস্থার কাছে। পাপুয়া নিউ গিনির উদ্ধারকারী দলের ক্যাপ্টেন নুরুর রহমান জানিয়েছেন, তাঁদের দেশ থেকে আসা ৪টি জাহাজ উদ্ধারের কাজে লাগানো হয়েছে।
|
গিলানিকে তলব, চার্জ গঠন করবে কোর্ট |
সংবাদসংস্থা • ইসলামাবাদ |
কিছুতেই ফাঁড়া কাটছে না পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির। আদালত অবমাননার দায়ে গিলানির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে বলে জানাল পাক শীর্ষ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রায় দু’বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে বন্ধ হয়ে যাওয়া দুর্নীতি মামলাগুলি ফের শুরু করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, তা অগ্রাহ্য করেন গিলানি। যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়, দেশে কিংবা বিদেশে যে কোনও আইনি ব্যবস্থার বাইরে থাকার রক্ষাকবচ আছে পাক প্রেসিডেন্টের।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গিলানির বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। এবং আদালতে ওই দিন উপস্থিত থাকতে হবে পাক প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি উপস্থিত হবেন। এর আগেও ১৯ জানুয়ারি আদালতে ডেকে পাঠানো হয় গিলানিকে। পরে সে নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিযোগ প্রমাণ হলে ছ’মাস পর্যন্ত জেলে কাটাতে হতে পারে গিলানিকে। একই সঙ্গে, আগামী পাঁচ বছর কোনও সরকারি পদে বহাল থাকতে পারবেন না তিনি। |
|
|
|
|
|