|
|
|
|
সাহায্য দিল ডান-বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
গাজলে আত্মঘাতী চাষি দয়াল বমর্নের পরিবারের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস ও সিপিএম। শীঘ্রই ওই চাষির বাড়িতে যাবেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। সোমবার সাংসদ বলেন, “কংগ্রেস থেকে ওই আত্মঘাতী চাষির পরিবারকে সব রকম সাহায্য করব। সরকার ধানের দাম বেঁধে দিলেও সরকারি দামে চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারছে না। চালের মিল মালিকরা সরকারি দামে ধান কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে না পেরে যখন একের পর এক চাষি আত্মহত্যা করছে তখন সরকারের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের কর্তারা আত্মহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর। এদিন মালদহ সদর হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থেকে আত্মঘাতী চাষী দয়াল বর্মনের ময়না তদন্ত করান সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র। তিনি বলেন, “আমরা আত্মঘাতী চাষির পরিবারকে সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছি। কৃষক সভার পক্ষ থেকে ওই আত্মঘাতী চাষির পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলা সম্পাদক বলেন, “কৃষকদের আত্মহত্যা রুখতে সিপিএম আন্দোলনে নামবে।” রবিবার গাজলের ডুহুচি গ্রামে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন চাষি দয়াল বর্মন। কিন্তু, মৃতকে চাষি বলে মানতে নারাজ জেলা প্রশাসন। সোমবার জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি জানান, গাজলে ধানের দাম না পেয়ে কৃষক আত্মহত্যার যে খবর বেরিয়েছে সেটা সঠিক নয়। জেলাশাসক বলেন, “গাজলের বিডিও যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে দয়াল বর্মন চাষি নন। তাঁর নিজস্ব দেড় বিঘা জমি রয়েছে। জমি থাকলেও তিনি কাঠের কাজ করতেন। পেশায় ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। ধান চাষ করার জন্য ঋণ নেননি। মেয়ের বিয়ে ও কাঠের কাজের জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে অবসাদে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।” জেলাশাসক দয়াল বমর্নকে চাষি না-বলায় ক্ষুব্ধ বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান সিরাজুল ইসলাম ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, “কে বলল ও চাষি নয়? ও তো চার বিঘা জমিতে চাষ করত? চাষবাসই ওর পেশা। মাঝেমধ্যে কাঠের কাজ করত। চাষের জন্য মহাজনের কাছে দয়াল বমর্ন ঋণ নিয়েছিল। পরে মেয়ের বিয়ের জন্য কিছু ঋণ নিয়েছিল। যারা বলছে দয়াল বমর্ন চাষি নন, তাঁরা মিথ্যে বলছেন।”
মানব বন্ধন। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর ৬৩তম মৃত্যুদিন পালন করল রায়গঞ্জ পুরসভা। সোমবার বেলা ১১টা থেকে টানা পুর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শহরের কসবা মোড় থেকে কর্ণজোড়া পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের নিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি, মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়। গাঁধীর জীবন্ত স্ট্যাচু, প্রদর্শনীর ব্যবস্থা হয়েছিল। |
|
|
|
|
|