|
|
|
|
কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা পানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
শীতে পান নষ্ট হতে শুরু করায় এ বছরও বিপাকে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার পানচাষিরা। গত বছর মহকুমার প্রায় পাঁচশো পান চাষি বিপাকে পড়েন। প্রায় ৩ কোটি টাকার পান নষ্ট হয়। চাষিদের আশঙ্কা, এ বারও ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বরজের পান বাঁচাতে উদ্বিগ্ন কৃষকেরা উদ্যান পালন দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। বিষয়টি মহকুমাশাসককে জানান তাঁরা। পানচাষি সংগঠনের ইসলামপুর শাখার সভাপতি শঙ্কর ভাওয়াল বলেন, “গত বছর পান চাষিদের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। আবেদন করার এক বছর হয়ে গেলেও এক টাকাও ক্ষতিপূরণ পাইনি। এ বছরও এই চাষে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে চাষ করেছে। তাঁরা টাকা শোধ করবে কী করে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।” ইসলামপুরের মহকুমাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “গত বছর ওদের ক্ষতির বিষয়টি জানি। বিষয়টি নিয়ে জেলার উদ্যান পালন দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” চাষিরা জানান, উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় পান চাষ হয়। এ বার শীতের প্রকোপ বাড়ায় বহু বরজে কাণ্ডে পচন ধরতে শুরু করেছে। চাষিদের আশঙ্কা, এমন চললে ধীরে ধীরে পাতা লাল হয়ে ঝরে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবে কাণ্ড পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যায় সেই ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করা দরকার। কিন্তু উদ্যান পালন দফতরের কাছ থেকে তাঁরা কোনও সহায়তা পাচ্ছেন না। ইসলামপুর মহকুমার জীবন মোড়, শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় পান চাষি হৃদয় দাস, অজিত দাস, সুজয় বারুইদের অভিযোগ, প্রতি বছর পান চাষের জন্য সার, কীটনাশক, ওষুধ থেকে শুরু করে বাঁশ, খড়ের দাম বাড়ছে। মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে পান চাষ করতে হচ্ছে। সরকারি ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকলেও তা নিয়ে ঢিলেমি চলছে। ওই পান চাষিরা বলেন, “বিহারে আমাদের পানের চাহিদা বেশি। দিনের পর দিন পানের মান খারাপ হচ্ছে। মান খারাপ হওয়ায় বাইরে থেকে আমদানি করা পানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতায় টিকতে কম দামেই পান বিক্রি করতে হয় আমাদের।” |
|
|
|
|
|