|
|
|
|
রায়গঞ্জে অবরোধ গণমঞ্চের |
কেনার দাবি, ধান পুড়িয়ে ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবিতে ও রেশনের সামগ্রী সরবরাহে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে এসইউসি-র সংগ্রামী গণমঞ্চের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটি। সোমবার দুপুরে সংগঠনের কয়েকশো সমর্থক রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সংগঠনের তরফে কয়েক বস্তা ধান পুড়িয়ে জেলা খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রশাসনিক আশ্বাসে বিকেল নাগাদ আন্দোলন উঠে যায়। সংগঠনের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে রেশনে অনিয়ম বন্ধ করে জেলার ৯টি ব্লকের বিভিন্ন হাটে সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কাজ শুরু না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতর ঘেরাও করা হবে। জেলা খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক শুভ্রাংশু দাস বলেন, “সংগঠনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সরকারি নিয়ম মেনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধান কেনার বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছেন।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাস থেকে জেলার ৯টি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফ্রেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কাজ চলবে। জেলার প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ১৪ লক্ষ কুইন্টাল আমন ধানের চাষ হয়েছে। চাষিরা ধান কেটে কেউ নিজেদের বাড়িতে আবার কেউ খামারে মজুত করতে শুরু করেছে। গণমঞ্চের অভিযোগ, ধান কাটা শুরু হলেও রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ ব্লকে কয়েকটি এলাকা ছাড়া বাকি ব্লকগুলিতে সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার কাজ শুরু হয়নি। ফলে চাষিরা ব্লকের বিভিন্ন হাটে ফড়েদের কাছে কুইন্টাল প্রতি ৮০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি দুলাল রাজবংশী বলেন, “অনেক চাষি জমি বন্ধক দিয়ে চড়া সুদে মহাজন এবং বিভিন্ন ব্যঙ্কের কাছ থেকে ধারে টাকা নিয়ে ধান চাষ করেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা বিপদে পড়বে।” সংগঠনের তরফে খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিকের কাছে সরকারি উদ্যোগে চাষিদের থেকে সরাসরি কুইন্টাল প্রতি ১০৮০ টাকা সরকারি সহায়ক দরে ধান কেনার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে গণমঞ্চের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ২০০৬ সালে আবেদন করেও জেলার ৯টি ব্লকের প্রায় ১ লক্ষ বাসিন্দা রেশন কার্ড পায়নি। হেমতাবাদ, বিন্দোল এবং গোয়ালপোখর ব্লকের একাধিক রেশন ডিলার নিয়মিত দোকান খুলছে না। কার্ড আটকে রেখে তারা গ্রাহকদের হয়রান করছে। জেলার রেশন ডিলারদের একাংশ চাল, আটা ও কেরোসিন তেলের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চাইতেও বেশি নিচ্ছে। ডিলারদের একাংশ গ্রাহকদের সামগ্রী না দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সুজন পাল জানান, জেলার রেশন দোকানগুলি থেকে সরকারি নিয়মে সরবরাহের ব্যবস্থা করা না হলে জেলা জুড়ে অবরোধ আন্দোলন শুরু হবে। |
|
|
|
|
|