তিস্তা সেচ প্রকল্পের বাঁ হাতি ক্যানাল দিয়ে সেচের জল ছাড়ার ব্যাপারে টালবাহানার অভিযোগ করলেন কৃষকেরা। গত ১৬ জানুয়ারি ক্যানালে ফাটল দেখা দেওয়ায় তিস্তা সেচ কর্তৃপক্ষ জল ছাড়া বন্ধ করেন। পাশাপাশি, ৩-৪ দিনের মদ্যে ক্যানাল মেরামত করে জল ছাড়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। কিন্তু এখনও শাখা ক্যানাল খেতে খেতে জল পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ কৃষকদের। আধিকারিকদের একাংশের টালবাহানার জেরেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। কৃষকদের সামাল দিতে তিস্তা সেচ কর্তৃপক্ষ গত রবিবার সকালে মাত্র ১.৫ কিউমেক জল ছাড়েন। সেই জলও ১১ কিলোমিটারের বেশি দূর পর্যন্ত পাঠানো যায়নি। গজলডোবার তিস্তা সেচ প্রকল্পের থেকে বাঁ হাতি ক্যানালে ১১ কিলোমিটার দূরে রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝগ্রাম এলাকাতে একটি লকগেট রয়েছে। এই লকগেটটি রবিবার থেকে জল ছাড়ার পর বন্ধ করা থাকায় ক্রান্তি, লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও জল পৌঁছায়নি। |
তিস্তা সেচ প্রকল্পের লেফট ব্যাঙ্ক ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার মৃত্যুঞ্জয় কুমার জানান, ওই লকগেটের ১১ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ক্যানালে মোট চারটি শাখা ক্যানাল রয়েছে। এই চারটি শাখা ক্যানালের মাধ্যমে খেতে জল পাঠাতে মোট ৩ কিউমেক জলের প্রয়োজন। তিস্তা ব্যারাজ থেকে ধীরে ধীরে জল বাড়ানো হবে। তাই যতক্ষণ না শাখা ক্যানালে পাঠানোর মতো জলস্তর মিলছে ততক্ষণ মাঝগ্রামের লকগেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ১১ কিলোমিটার এলাকার ক্যানালের জল যে সমস্ত কৃষকদের পাওয়ার কথা, তাঁরা এমন টালবাহানায় ক্ষুব্ধ। সোমবার কৃষকরা অভিযোগ করেন, ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তাঁরা এখনও চাষের জমিতে জল পাঠাতে পারছেন না। স্থানীয় কৃষক দিলওয়ার হোসেন বলেন, “বাঁ হাতি ক্যানাল তৈরিতে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। সেই জন্যই মাঝেমধ্যেই ক্যানাল মেরামত করতে হচ্ছে। এখন ফের জল ছাড়া হলেও ক্যানালের অনেক জায়গা ফুটিফাটা হয়ে আছে।” বস্তুত পুরোপুরি ক্যানালে ফের কবে থেকে জল চালু করা যাবে তার উত্তর দিতে পারছেন না কোনও সেচ আধিকারিকই। অথচ সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার উপস্থিতিতে গত ৮ জানয়ারিতে ক্যানালে জল ছাড়া হলে এলাকার চাষীরা জল পাওয়ার আশায় বুক বাঁধেন। এতদিনে চাষের জমিতে জল না আসায় উদ্বোধনের যৌক্তিকতা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে কৃষক মহলে। |