৫ বছরের শিশুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ফেরার বাবার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ওই শিশুর মা বাসন্তী রায় এনজেপি পুলিশ ফাঁড়িতে যান। তিনি পুলিশকে জানান, তাঁদের বাড়ি প্রধাননগর থানার দাগাপুরে। শনিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারে যাওয়ার নাম করে তাঁর স্বামী চন্দন রায় শিশু সোমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তার পর থেকে তাঁদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে তিনি ঘটনার কথা জানতে পারেন। তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁর ৫ বছরের শিশুকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, ছয় মাস আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। তার পর তিনি তিন মেয়েকে নিয়ে চন্দনকে বিয়ে করেন। দার্জিলিং মোড়ের কাছে একটি এলাকায় বাড়ি ভাড়া তাঁরা থাকেন। সম্প্রতি বাড়ি ভাড়া মেটানো নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাসন্তী দেবীর বচসা হয়। তার পর থেকে স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। জলপাইগুড়ি সদরের এক পুলিশ কর্তা বলেন, “শিশুটির বক্তব্যের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। একটি খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। এ দিন শিশুর মাকে জেরা করা হয়েছে। অভিযুক্তকে খোঁজা হচ্ছে।” বাসন্তী দেবী এদিন তাঁর মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানান। পুলিশের সাহায্য নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার একটি হোমে গিয়ে সোমার সঙ্গে দেখা করেন। সোমা এখনও আতঙ্কের মধ্যে থাকায় মায়ের হাতে মেয়েকে তুলে দেননি হোমের কর্তারা। হোম সুপারভাইজার মোহনলাল ঝাঁ বলেন, “শিশুটি এখনও আতঙ্কে রয়েছে। তাই বাসন্তী দেবীর সঙ্গে কথা বলে সোমাকে আপাতত হোমে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন পরে তাঁকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ফুলবাড়ি ক্যানালে পশ্চিম ধনতলা থেকে সোমাকে উদ্ধার করে বাসিন্দারা। রবিবার পশ্চিম ধনতলার বাসিন্দা অঞ্জু মণ্ডল সোমাকে নিয়ে এনজেপি পুলিশ ফাঁড়িতে যান। শিশুটির গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সে পুলিশকে জনায়, তাঁর বাবা সোমার গলায় মাফলার জড়িয়ে খুনের চেষ্টা করে। সে চিৎকার করায় তাঁকে চায়ের দোকানে বসিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, চন্দন চায়ের দোকানে কাজ করেন। তিনি তিনটি বিয়ে করেছেন। বাসন্তী দেবী তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। বাসন্তী দেবীর তিন মেয়েকে নিয়ে তিনি সংসার চালাতে রাজি ছিলেন না। তা নিয়েই বিয়ের পর থেকে অশান্তি শুরু হয়। তার পরিণতি ওই ঘটনা বলে পুলিশের সন্দেহ। জখম শিশু। |