খুনের অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর |
বন্ধুকে খুনের অভিযোগে ধৃত এক যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল গ্রামবাসীদের একাংশ। রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে অশোকনগরের শক্তিনগর এলাকায়। পুলিশ গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় আগুন নেভায়। টিনের চালের বেড়ার বাড়িটির বেশিরভাগই ভস্মীভূত হয়ে যায়। সম্প্রতি শক্তিনগরের বাসিন্দা দীপক আচার্য খুন হন। বাড়ির কাছের একটি ধানখেত থেকে পুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ দীপককে খুনের অভিযোগে তাঁর বন্ধু বিক্রম পাল এবং সুখেন্দু সরকার ওরফে পিন্টুকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, জমি বিক্রির দালালির ভাগের টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন করা হয় দীপককে। ধৃতেরা অপরাধের কথা কবুল করেছে বলেও পুলিশের দাবি। ধৃতেরা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। রবিবার গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে বিক্রমের বাড়ির উপরে। ওই বাড়িতে বিক্রমের পরিবারের লোকজন ছিলেন না। বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, বন্ধুকে কেউ খুন করতে পারে, তা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। বিক্রমকে তাঁরা এলাকায় ঢুকতে দিতে চান না। পুলিশ জানায়, ওই বাড়িতে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষমদ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা ওরফে নুর ইসলাম ফকিরের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তাকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায় গোপন জবানবন্দি নেন। সাড়ে ১০টা নাগাদ তাকে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। খোঁড়া বাদশার আইনজীবী জাকির হোসেন মির তাঁর মক্কেলের জন্য জামিনের আবেদন জানাননি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষমদ-কাণ্ডে খোঁড়া বাদশার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ সিআইডির হাতে এসেছে। জেল হেফাজতের নির্দেশ শোনার পরে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ে খোঁড়া বাদশা। সকাল থেকেই আদালত চত্বরে পুলিশের কড়া পাহারা ছিল। আদালত চত্বরে বাবাকে দেখতে হাজির ছিলেন মেয়ে নুরবানু বিবি ও সেরিনা বিবি। দু’জনেই জানান, তাঁদের বাবা নির্দোষ। চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার মহকুমা দায়রা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবী এ দিন খোঁড়া বাদশার হয়ে দাঁড়াননি বলে দাবি করেন ডায়মন্ড হারবার মহকুমা দায়রা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ চক্রবর্তী।
|
মহিলা খুনে দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে স্মারকলিপি |
সারের দোকানের মালিক মিনতি গাইনের খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত ২৭ জানুয়ারি, শুক্রবার ওই খুনের ঘটনা ঘটে। হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলা বাজারে মিনতীদেবীর সারের দোকান রয়েছে। ওই দিন রাতে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। শনিবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি মাঠ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মহিলার উপরে অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার হেমনগর উপকূল থানায় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
শিক্ষা ও খেলার সরঞ্জাম বিলি |
স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষা ও খেলাধুলোর সরঞ্জাম বিতরণ করা হয় বনগাঁয় বিএসএফের সুটিয়া ক্যাম্প থেকে। সোমবার ওই ক্যাম্পে বিএসএফের ২৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই সরঞ্জাম বিলি করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার সঞ্জয় কুমার। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার দু’টি প্রাথমিক, একটি মাধ্যমিক স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে আড়াই লক্ষ টাকার শিক্ষা ও খেলার সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। সঞ্জয় কুমার বলেন, “গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিএসএফের জনসংযোগ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এই অনুষ্ঠান। গ্রামবাসী ও পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।
|
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক ব্যক্তি। রবিবার, ক্যানিং থানা এলাকা থেকে। ধৃতের নাম নন্দ গায়েন। পুলিশ জানায়, বছর দেড়েক আগে পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার বাসিন্দা বিক্রম কোলে নামে এক ব্যক্তিকে সোনারপুরে জমি বিক্রির নামে অগ্রিম ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় নন্দ। সপ্তাহখানেক আগে বিক্রমবাবু সোনারপুর থানায় অভিযোগ করেন। |