|
|
|
|
মিনাখাঁর ব্যবসায়ী খুনের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হাসনাবাদে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
মোবাইল ফোনের দোকানের মালিক সালাউদ্দিন মোল্লাকে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আয়ুব আলি নামে ভেবিয়া চৌমাথা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে রবিবার রাতে হাসনাবাদ থানার তালপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় আয়ুব ওই ব্যবসায়ীকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সালাউদ্দিন খুন হওয়ার পরে তল্লাশি শুরু হলে এলাকার দুষ্কৃতী হিসাবে পরিচিত আয়ুব সন্দেশখালি, মিনাখাঁর বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে থাকছিল। রবিবার গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরে তালপুকুর থেকে তাকে ধরা হয়। সোমবার তাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনাখাঁর মালঞ্চ গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দিনের বাড়ির কাছেই একটি মোবাইল ফোনের দোকান রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি সকালে সালাউদ্দিন ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী তিনটি মোটর সাইকেলে হাসনাবাদের টাকিতে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বসিরহাটে সিনেমা দেখে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। ভেবিয়া চৌমাথায় পান, বিড়ি কিনতে তাঁরা একটি দোকানের সামনে থামেন। সেই সময় মোটর সাইকেল থেকে নামতে গিয়ে তাঁর গায়ে পা লেগে গিয়েছে এই অভিযোগে সালাউদ্দিন ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে বচসা বেধে যায় আয়ুবের। গায়ে পা লেগেছে এই ‘অপরাধে’ সালাউদ্দিনদের জরিমানা করে সে। কিন্তু সালাউদ্দিনরা তা না দিয়ে চলে যায়। দলবল নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে আয়ুব। রাজাপুর গ্রামের কাছে সালাউদ্দিন ও তাঁর এক বন্ধু আমানুল্লা মোল্লাকে ধরে ফেলে মারধর শুরু করে আয়ুব ও তার দলবল। আমানুল্লা পালাতে সক্ষম হলেও সালাউদ্দিনকে মারধরের পরে তাঁর গলার সোনার চেন, আংটি খুলে নিয়ে তাঁকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতেই সালাউদ্দিনের মোটর সাইকেল উদ্ধার হলেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সালাউদ্দিনের সঙ্গীর মোবাইলে সব খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা ওই রাতেই ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করলেও সালাউদ্দিনের খোঁজ পাননি। পরে আমানুল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে পুকুরে দেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ ও পরিবারের লোকেরা গিয়ে সালাউদ্দিনের দেহ শনাক্ত করে। এর পরেই সালাউদ্দিনের বাবা মনিরুল মোল্লা, আয়ুব আলি গাজি, খোকা মোল্লা ও পেরো মোল্লার বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। |
|
|
|
|
|