দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার দু’টি এলাকায়।
দুপুরে একটি দুর্ঘটনা ঘটে হাবরার রুদ্রপুর বাজারের কাছে। হাবরা-মগরা সড়কে যাত্রী বোঝাই অটোর ধাক্কায় মৃত্যু হয় পথচারী সঞ্জয় মণ্ডলের (৩২)। তিনি স্থানীয় তুনিঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। সঞ্জয়কে ধাক্কা মারার পরে অটোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি পাঁচিলে ধাক্কা মারে। জখম হন ৫ যাত্রী। |
আহতদের হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা সঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
|
সঞ্জয়। |
বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত জনতা অটোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আধ ঘণ্টার জন্য সড়ক অবরোধ করে মৃতের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিও তোলা হয়। হাবরা থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হাবরা বাজার ও মগরার মধ্যে প্রতিদিনই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটোগুলি বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করে। অবিলম্বে অটোতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা বন্ধের দাবি তোলেন তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত অটোটিতে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন। শীঘ্রই ওই রাস্তায় অটোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া বন্ধ করতে অভিযান শুরু হবে। |
অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে সকালে, বসিরহাটের জাফরপুর গ্রামের কাছে টাকি রোডে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই
গ্রামের মৌসুমী খাতুন (১৪) পাশের গোপালপুরে গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে পড়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময়ে উল্টো দিক থেকে একটি লরির সামনে যাত্রী বোঝাই অটো চলে আসে। অটোটিকে পাশ কাটাতে গিয়ে লরিটি মৌসুমীকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জনতা দেহটি আটকে রেখে মৌসুমীর পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং চালকদের গ্রেফতারের দাবিতে ঘণ্টাখানেক রাস্তা অবরোধ করে। দুর্ঘটনার পরে দুই চালকই গাড়ি ফেলে পালায়। পুলিশ গিয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। দু’টি দেহই ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। |