|
|
|
|
সুশান্তের জামিন নিয়ে কাল রায় সুপ্রিম কোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গড়বেতার কঙ্কাল-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন সিপিএম মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের জামিনের আবেদন নিয়ে কাল, বুধবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে ওই আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। গত ১১ অগস্ট সুশান্তবাবুকে সিআইডি তাদের হেফাজতে নিয়েছিল। তার পর থেকে বারবার আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। কলকাতা হাইকোর্টও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তার পরেই জামিনের জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সুশান্তবাবু।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানি ছিল। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে সওয়াল, পাল্টা সওয়াল চলে বিচারপতি আলতামাস কবির ও বিচারপতি জ্ঞানসুধা মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় জানান, বুধবার তারা রায় দেবে বলে ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়ে দিয়েছে।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে, জুনের গোড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার দাসেরবাঁধে মাটি খুঁড়ে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। ওই দেহাবশেষ প্রায় ১০ বছর আগে কেশপুরের পিয়াশালা থেকে নিখোঁজ কয়েক জন তৃণমূলকর্মীর বলে দাবি ওঠে। যেখানে হাড়গোড় উদ্ধার হয়েছিল, সেই জায়গাটি বেনাচাপড়ায় সুশান্তবাবুর পৈতৃক বাড়ির কাছেই। তাদের ‘নিখোঁজ’ কর্মীদের খুন করে প্রমাণ লোপাট করার জন্য দাসেরবাঁধে কবর দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ‘নিখোঁজ’ অজয় আচার্যের ছেলে শ্যামল কেশপুরের আনন্দপুর থানায় ৪০ জন সিপিএম নেতা ও কর্মীর নামে গুমখুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডি-কে।
শ্যামলের এফআইআরে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার বর্তমান বিধায়ক সুশান্তবাবুর নাম ছিল। তৃণমূলকর্মীদের অন্তর্ধান মামলায় নাম জড়িয়ে পড়তেই ‘আত্মগোপন’ করেন সুশান্তবাবু। বিধানসভায় হাজিরাও বন্ধ করে দেন। মেদিনীপুরের সিজিএম আদালত গত ১১ অগস্ট প্রাক্তন মন্ত্রীর আগাম জামিন খারিজ করে দেয়। আদালত থেকেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিআইডি। পরে তাঁকে পাঠানো হয় জেল-হাজতে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সুশান্তবাবু-সহ ৫৮ জন সিপিএম নেতা ও কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিটও দিয়েছে সিআইডি। |
|
|
|
|
|