এমন টিম বানাব যা পাকিস্তানকে এই অন্ধকার থেকে উদ্ধার করবে
খ্যাতনামা ছিলেন উপমহাদেশের সফলতম ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে। এখন তা দূরে সরিয়ে রেখে বলা হচ্ছে পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী। নিজে কী মনে করেন? অস্ট্রেলিয়ায় ০-৪ থেকে ইসলামাবাদের সিংহাসন বরাবরের মতোই খোলামেলা ইমরান খান! সোমবার বিকেলে হোটেলে তাঁর এক তলার ঘরে বসে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে।

প্রশ্ন: ভারতে অণ্ণা হজারে। পাকিস্তানে আপনি। দু’জনেরই কমন থিম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধ। আর কী কী মিল?
ইমরান: মিল হল, দু’জনেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। আর বড় অমিল হল, অণ্ণারটা প্রেশার মুভমেন্ট। আমারটা রাজনীতির মুভমেন্ট।
তফাত হল, প্রেশার গ্রুপ বড়জোর বলতে পারে যে, সরকার অবিলম্বে বিল আনুক, নীতি তৈরি করুক। এর বেশি তার যাওয়ার ক্ষমতা নেই। রাজনৈতিক মুভমেন্টে আপনি ক্ষমতায় চলে আসতে পারবেন। আর ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি সত্যি সত্যি দূর করতে পারবেন। কারণ দুর্নীতি তো লুকিয়ে রয়েছে রাজনীতির মধ্যেই। সরকারের মধ্যেই। পরিশুদ্ধ সরকার এলে সে অনেক কিছু নীতি এনে সত্যি সত্যি সেগুলো কার্যকর করতে পারবে।

প্র: আপনার এত সফল পাকিস্তান টিমের রেসিপি ছিল আপনি এবং বেশ কিছু প্রতিভাবানের একই সঙ্গে সহাবস্থান। কোনও এক মিয়াঁদাদ। কোনও এক আক্রম। কোনও এক ওয়াকার। কিন্তু এই যে আপনার রাজনৈতিক দল তাতে শুধুই আপনি একা। এটা কোথায় টিম ইমরান? কোথায় আপনার ওয়াকার? কোথায় আপনার ওয়াসিম? বাকিদের তো লোকে নামই জানে না! এটা কি তা হলে টিম স্পোর্ট না ইনডিভিজুয়াল স্পোর্ট?
ইমরান: শুনুন, শুনুন। শুধু ক্রিকেট টিম নয়, যখন আপনি আমার মতো একটা হাসপাতাল গড়বেন। ক্রিকেট টিম চালাবেন। বা আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়টা তৈরি করেছি সেটা তৈরি করবেন তখন কিছুতেই ওটা ইনডিভিজুয়াল স্পোর্ট হতে পারে না। সব কিছুই টিম। আর আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ বরাবরই থেকেছে ঠিকঠাক টিম গড়া। ঠিকঠাক লোক নির্বাচন। সব সময়ই এই নির্বাচন কোয়ালিটি ভিত্তিক। জীবনে আমি কোনও দিন আমার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে কোয়ালিটির ওপরে স্থান দিইনি। পুরোটাই মেরিট।
মনে রাখবেন রাজনীতিতে কোনও দল এক দিনে তৈরি হয়নি। এটা একটা প্রণালীর মধ্যে দিয়ে তৈরি। এটা একটা মন্থর প্রক্রিয়া। যা আস্তে আস্তে দেখিয়ে দেয় কোন লোক বিশ্বাসযোগ্য, কে নয়। রাজনীতিতে তাই আমার দল তৈরি করতে সময় লাগছে। কিন্তু সেরা দল আমি তৈরি করবই। এমন টিম বানাব যে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাস কখনও দেখেনি। আর সেই টিমটাই পাকিস্তানকে রক্ষা করবে। তুলে আনবে এই অন্ধকার থেকে।

প্র: ক্রিকেট সিরিজ শুরুর আগে যখনই একটা দল সম্পর্কে বলা হতে থাকে অবিসংবাদী ফেভারিট তারা তখন চাপে পড়ে যায়। এই যে এত নাচানাচি হচ্ছে যে, তেহরিক-ই-ইনসাফ নির্বাচন জিতবেই। আর আপনি পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী। এই প্রচারটা ক্ষতিকারক নয়?
ইমরান: আমি সব সময়ই জানতাম এই নির্বাচনটা আমরা জিতছি। আজকে বলে নয়। দেড় বছর আগেই জানতাম। আমার বিশ্বাসটা এসেছিল পাকিস্তানের মানুষের বদলে যাওয়া প্রতিক্রিয়া দেখে। বিশ্বকাপের সময় ভারতে এসে আমি বলেছিলাম, পরের নির্বাচনটা আমরা উড়িয়ে দেব। তখন ক্রিকেট নিয়ে ভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে দু’একটা চ্যানেল আমায় রাজনৈতিক প্রশ্নও করেছিল।
পরের পাক প্রধানমন্ত্রী আমিই হচ্ছি। সাক্ষাৎকারে যেন বলে গেলেন ইমরান। ছবি: উৎপল সরকার
প্র: আপনার উত্তর শুনে তারা কি তখন হেসেছিল?
ইমরান: হাসল। তাচ্ছিল্য করল। আমি তখন বললাম...ওই টিভি-র প্রোগ্রামেই বললাম, আজকের তারিখটা লিখে নিন। পরের নির্বাচন আমরা উড়িয়ে দেব। জিতব না। উড়িয়ে দেব।
আমি বরাবরই জানতাম যে মুহূর্তে পাকিস্তানের মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হয়ে পড়বে, যে মুহূর্তে নিজেদের অধিকারের কথা ভাবা শুরু করবে, তখনই শুরু হবে দুই পার্টির শাসন করার পদ্ধতিকে নাকচ করা। আর তখন ঘুরেফিরে এই দু’টো পার্টিই ক্ষমতায় আসবে না। লোকে চাইবে পরিবর্তন।
আজ যে দেশি-বিদেশি মিডিয়া পাকিস্তানের সর্বত্র আমাদের বিশাল বিশাল র্যালি দেখে লিখছে। জমায়েত দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছে। সেটা কিন্তু এক রাত্তিরে ঘটেনি। প্রক্রিয়াটা তলায় তলায় চলছিল। লোকে আস্তে আস্তে বদলাচ্ছিল।

প্র: আপনি যতই বলুন, ক্রিকেট মাঠের মতো নির্বাচনেও ফেভারিটরা হেরে গেছে এমন ঢের ঢের ঘটনা আছে।
ইমরান: শুনুন ভাই, ওদের জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। ওরা নির্বাচন জিতবে না। আমরা হারতে পারি। সেটাও নিজেদের দোষে। ওই রাজনৈতিক পার্টিগুলোর মানুষের সামনে মুখোশ খুলে গেছে। মানুষ তাদের ত্যাগ করেছে। এ বার আমরা যদি নিজেদের নীতি-নির্ধারণ নিয়ে গণ্ডগোল করি, ভুলভাল প্রার্থী দিই, একমাত্র তা হলেই নিজেদের নিজেরা হারাতে পারি।

প্র: মাঝখানে খবর রটল যে, আপনি মুশারফের সঙ্গে জোট বাঁধতে পারেন। অনেকের কাছেই খুব আশ্চর্যজনক লেগেছে।
ইমরান: না, খবরটা ঠিক নয়। এমন কোনও জোট হচ্ছে না।

প্র: কিন্তু মুশারফ শিবির থেকে কোনও অনুরোধ এসেছিল কি?
ইমরান: এসেছিল। কিন্তু যে লোকটা পাকিস্তানেই থাকে না তার সঙ্গে আবার জোট কী? যে রাজনৈতিক পার্টির অধিনায়ক থাকে বিদেশে সেটা কী পার্টি!

প্র: জানতে চাইছিলাম মুশারফ সম্পর্কে আপনার পুরনো মূল্যায়ন বদলেছে কি না?
ইমরান: একদমই না। আমি মনে করি বর্তমান যে পরিস্থিতি এবং এই যে আসিফ আলি জারদারির প্রেসিডেন্ট হয়ে যাওয়া সব কিছুর জন্য মুশারফ দায়ী।

প্র: লাদেনকে পাকিস্তানে গোপন অজ্ঞাতবাস কি মুশারফই করে দিয়েছিলেন?
ইমরান: বলা শক্ত। অনুসন্ধানের জন্য একটা হাই-প্রোফাইল কমিশন তৈরি হয়েছে। আগামী ২ মে এই কমিশন অ্যাবটাবাদ তদন্তে বসবে। ওরা সব কিছু খতিয়ে দেখবে।

প্র: আপনার নিজের কী ধারণা? পাক সরকার জানত কি জানত না?
ইমরান: আমার একটা কথাই বার বার মনে হয়। যে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী উগ্রপন্থীদের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের সাত হাজার সৈনিক হারিয়েছে, যাদের জেনারেল মারা গেছে, তারা কি লাদেনের মতো উগ্রপন্থীদের পান্ডাকে নিজেদের দেশে ঢুকতে দেবে! তারা নিজেরা ভুলে যাবে সহকর্মীদের এত রক্তক্ষয়? এত প্রাণনাশ? আমি নিশ্চিত নই। তাই কমিশনের জন্য অপেক্ষা করছি। আমার নিজের কাছে কোনও উত্তর নেই। আমার এখনও মনে হয় না পাক সামরিক বাহিনীর এক নম্বর শত্রুকে তারা সযত্নে রক্ষণাবেক্ষণ করতে রাজি হবে বলে। বুদ্ধিতে আসে না। যুক্তিতে আসে না। একটা হতে পারে, গোয়েন্দা বাহিনীর মধ্যেই হয়তো একটা গোষ্ঠী ছিল যারা আল কায়দার ঘনিষ্ঠ। একটা সময় আইএসআই আর সিআইএ মিলে তালিবান আর এই সব জেহাদি গ্রুপ তৈরি করেছিল। সেই গোয়েন্দাদেরই একটা ছোট অংশ হয়তো লাদেনকে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।

প্র: জাভেদ মিয়াঁদাদের সংসারে একুশ বছর। মুশারফদের দুনিয়ায় ষোলো বছর। আপনার জীবন কোথা থেকে কোথায়!
ইমরান: হ্যাঁ, ক্রিকেট এখন কোথায় মিলিয়ে গেছে। কিন্তু ক্রিকেট যেটা শিখিয়েছে তা হল, শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করো। তুমি তখনই একমাত্র হারবে যখন তুমি মন থেকে হেরে গেছ। প্রত্যেকটা হার আসলে নিজেকে উন্নত করার, সংশোধন করার, নতুন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার চমকপ্রদ সুযোগ। এই শিক্ষাগুলো আমায় রাজনীতিতে সাহায্য করে।

প্র: আক্রম সে দিন বলছিলেন বিরানব্বই বিশ্বকাপে যখন আপনারা ক্রমাগত হারছেন, তখনও আপনি টিমকে বলে গেছেন শেষ পর্যন্ত আমরাই চ্যাম্পিয়ন! এই বিশ্বাসটা কোথা থেকে আসে?
ইমরান: এই বিশ্বাসটা নিজের আত্মা থেকে আসে। আর মাথা খাটিয়ে উপলব্ধি থেকে আসে যে, অন্য টিমগুলো যখন টুর্নামেন্টে পিক থেকে নীচে নামছে তখন আমরা নীচ থেকে পিকে যাচ্ছি। আমাদের সম্ভাবনা বেশি হবে। জীবনে এটাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা যে, আপনার সম্ভাবনাকে যদি পূর্ণতা দিতে চান, হারে-বিপর্যয়ে কখনও থেমে যাবেন না। ওগুলো আসলে জেতার চমকপ্রদ সব সুযোগ নিয়ে আপনার জীবনে হাজির হয়েছে। ওগুলো না এলে নিজেকে নিখুঁত করতেন কী করে!

প্র: একটা সময় আপনাকে এশিয়ার ক্রিকেট অধিনায়ক বলা হত। শুধু পাকিস্তানের নয়। সেই এশিয়ারই অন্তর্গত একটা দল ০-৪ অস্ট্রেলিয়ায় হেরে এল। আপনার ঘোর রাজনৈতিক জীবনে নিশ্চয়ই তার আর কোনও তাৎপর্য নেই?
ইমরান: একেবারে নেই বলব না। আমি আন্দাজ করেছিলাম ভারতের এই অবস্থা হবে। ভাই, জিততে হলে কুড়িটা উইকেট নিতে হয়। সেটা নেওয়ার মতো বোলার আপনাদের কোথায়? আপনার যত ভাল ব্যাটিং লাইন-আপই থাকুক, প্রথম ব্যাট করে বিপক্ষ যদি একটা বিশাল রান করে ফেলে আপনার দুর্বল বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে, তখন আপনার ব্যাটিং তো চাপে পড়ে গেল! তারা যত ভালই হোক।

প্র: কিন্তু ভারত তো বরাবরই চার বোলার নিয়ে খেলে।
ইমরান: আমি মনে করি সম্পূর্ণ ভুল মনোভাব। ক্রিকেট দু’ভাবে খেলা যায়। আপনি জেতার জন্যও ম্যাচে নামতে পারেন। আবার না হারার জন্যও নামতে পারেন। আপনি যদি জেতার জন্য নামেন তা হলে দল নির্বাচনটা অনেক পজিটিভ হবে। অনেক আক্রমণাত্মক হবে। ভারতের সমস্যা হল, কোনও ম্যাচ-উইনিং বোলার নেই। এমন কেউ নেই যে বিপক্ষকে দ্রুত মুড়িয়ে দিতে পারে। এ বার পিছন ফিরে আশির দশকের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা ভাবুন। সিলভেস্টার ক্লার্ক সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমে জায়গা পেত না। এ বার সে যখন বিদ্রোহী সফরে গেল, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে শুরু করল। ভাবুন একটা সিলভেস্টার ক্লার্কও কি আপনাদের আছে? সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার বোলারে খেলতে পারত কারণ ওরা সিলভেস্টার ক্লার্ককে বাদ দিয়েও জিততে পারত। ভারত সেটা কী করে পারবে?

প্র: অবসর-পরবর্তী আপনার কখনও মনে হয়েছে এই আইপিএল-টাইপিএল দেখে যে, আবার হাতে বলটা নিলে খারাপ হত না?
ইমরান: একেবারেই মনে হয়নি। প্রায় একুশ বছর আমি ক্রিকেট খেলেছি। যখন ক্রিকেট ছেড়েছি মনে করেছি গুডবাই ক্রিকেট। আর আইপিএলের কথায় বলি, ভারত যদি আইপিএল-কে ঠিকঠাক চালাতে না পারে এর থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত নিজেই। আমার কখনও আইপিএল দেখে মনে হয়নি যে, এতে আমার খেলতে খুব উত্তেজক লাগত।

প্র: ডেনিস লিলির জগত থেকে মিয়াঁ বশিরের জগতে চলে আসাটা কেমন? বশিরের কথা আপনার বইতে লিখেছেন। যিনি এক হিসেবে আপনার পথপ্রদর্শকও। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাব্য মোড়ে এসে ওঁকে কি মিস করছেন?
ইমরান: মানুষ মরণশীল। ওঁর অভাব বোধ করি না কারণ পরিচয় হওয়ার পর থেকে উনি আমাকে তৈরিই করেছেন সাবলম্বী ভাবে। আমি যখন বলেছি মিয়াঁ বশির আমার জন্য প্রার্থনা করুন, উনি তখন বলেছেন তুমি নিজে নিজের জন্য করো। আমি যখন বলেছি কী হতে যাচ্ছে একটু বলুন তো, উনি বলেছেন তুমি নিজে ধ্যানে বসো। তুমি নিজে দ্যাখো কী হচ্ছে। উনি যেন এসেইছিলেন আমার জীবনের গতিপথ বদলাতে। তার পর বাকিটা আমার ওপরে ছেড়ে দিয়েছিলেন। উনি ঈশ্বর আর আমার মাধ্যম হতে চাননি। ওসব বাণিজ্যিক গুরু বা পীর-রা করে থাকেন।

প্র: কেমন প্রধানমন্ত্রী হবেন ইমরান খান? সত্যি যদি হন। কোথায় গিয়ে তফাত হবে গড়পড়তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে?
ইমরান: সেই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত স্বার্থের সঙ্গে কোনও রকম গাঁটছড়া থাকবে না। সে হবে সম্পূর্ণ এক জন মুক্ত মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর মুকুট তাকে চালাবে না। সে ভাববে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের জন্য কী করতে পারে। তৃতীয় বিশ্বে রাজনীতিবিদরা মন্ত্রী-টন্ত্রী হতে চায় ঠাঁট-বাট-গ্ল্যামার-খ্যাতি এ সব চাখার জন্য। ইমরান খান তার জীবনে পঁয়ত্রিশ বছর ধরে এ সব দেখেছে। এই পদ আর এগুলো তাকে নতুন করে কী দেবে? তাই সে মুক্ত প্রধানমন্ত্রীই হবে!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.