বেশ ক’মাস ধরেই ঝাড়খণ্ডের সারান্ডাকে মাওবাদী মুক্তবলে দাবি করছিল রাজ্য পুলিশ। আজ সারাণ্ডায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর যাত্রাপথে শক্তিশালী বোমা রেখে পুলিশের দাবি উড়িয়ে তাদের উপস্থিতি জানিয়ে দিয়েছে মাওবাদীরা। সারাণ্ডা থেকে ফিরে এ দিন সন্ধ্যায় রাঁচির একটি হোটেলে সাংবাদিকদের কাছে জয়রাম নিজেই ওই বোমার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, “ওরা (মাওবাদীরা) তাদের উপস্থিতি জানান দিতেই রাস্তার পাশে কতকগুলি বোমা রেখেছিল। পুলিশ অবশ্য দেখামাত্রই বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।”
আজ দুপুরে সারাণ্ডার দিঘাগ্রামে সভা করেন জয়রাম রমেশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে স্কুল শিক্ষা-সহ পরিষেবা বিষয়ক বিস্তর অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। সারাণ্ডার উন্নয়নের জন্য ২৫০ কোটি টাকার একটি অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেছেন জয়রাম। যার মধ্যে রয়েছে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পরিবারের জন্য ৩০ কোটি টাকার ইন্দিরা আবাস যোজনা। পানীয় জলের জন্য ৩০ কোটি। এ ছাড়াও আছে রাস্তা এবং ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প। এ ছাড়াও শতাধিক গ্রামবাসীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সাইকেল এবং রেডিও সেট। আজ দিঘাগ্রামে দুটি রাস্তা এবং একটি কমিউনিটি সেন্টারের শিল্যান্যাস করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। |
উদ্ধার হওয়া কৌটো-বোমা। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী |
জঙ্গলের অধিকার সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেক বনবাসীদের জমির পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জয়রাম। তিনি জানান, ঝাড়খণ্ডে মাত্র ১৬, ৮৪০ জন জঙ্গলবাসীর মধ্যে ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ব্যক্তিগত পাট্টা বিলি হয়েছে। কমিউনিটি পাট্টার একটিও বিলি করা হয়নি। এই কাজে ঝাড়খণ্ডের থেকে এগিয়ে আছে ওড়িশা এবং ছত্তীসগঢ়। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ ভাবে সারাণ্ডায় উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণের বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী অজুর্ন মুন্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরাও। |