বিএ, বিএসসি, বিকমের জেনারেলের কোনও পত্রে অকৃতকার্য হলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন। নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে এ বছরেই। প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এই পরীক্ষা হবে। তবে এ বার হবে মে মাসে। অনার্সের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম খাটবে না। এত দিন পার্ট ওয়ানের কোনও পত্রে অকৃতকার্য হলে পরের বছর পার্ট টু দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার্থী পার্ট ওয়ানের ‘ব্যাক’ পত্রের পরীক্ষা দিতে পারতেন। সে-বারেও পাশ করতে না-পারলে পার্ট থ্রি-তে ওই পরীক্ষা দেওয়া যেত। একই ভাবে পার্ট টু-র কোনও পত্রে ফেল করলে পার্ট থ্রি-র সঙ্গে দেওয়া যেত সেই পরীক্ষা।
তা হলে নতুন ব্যবস্থা কেন?
মূলত স্নাতকোত্তরে ভর্তির পথ সুগম করতেই বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক ওঙ্কারসাধন অধিকারী। তিনি সোমবার বলেন, “পার্ট থ্রি-র ফল বেরোয় জুন-জুলাইয়ে। স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু হয় অগস্টে। আর পার্ট ওয়ান, পার্ট টু পরীক্ষাই হয় মে-জুনে। ফলে পার্ট থ্রি পাশ করলেও আগের পরীক্ষায় ফেল করা কোনও পরীক্ষার্থী স্নাতকোত্তরে ভর্তির সুযোগ পান না। নতুন পদ্ধতিতে সেই সমস্যা আর থাকবে না।” তিনি জানান, বিএ, বি এসসি, বিকমের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা নিতে বড় জোর এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তার ফলও বেরিয়ে যাবে দ্রুত।
নতুন পদ্ধতিতে স্নাতক হওয়ার জন্য ছ’বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সংসদের সচিব শ্যামল সরকার বলেন, “এত দিন ছাত্রছাত্রীরা পাঁচ বার পরীক্ষায় বসতে পারতেন। নতুন নিয়মে একটি পরীক্ষার বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা তার পরের বছর দেওয়া যাবে। সেই ভাবে ছ’বার পরীক্ষা দিতে পারবেন পড়ুয়ারা।” |