বন্ধ খনিতে ঘরের ছাদ ধসে জখম কিশোরের মৃত্যু হল। পুলিশ জানায়, আসানসোল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ সাদ্দাম (১৩) নামে ওই কিশোরের।
রবিবার দুপুরে জামুড়িয়ার শ্রীপুর এরিয়ার একটি পরিত্যক্ত খনির ওয়ার্কশপ ঘরে ঢোকে পাঁচ কিশোর। তার পরেই ওই ঘরের ছাদ ধসে পড়ে। চাপা পড়ে যায় তিন জন। তাদের মধ্যে দু’জনকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করেন আশপাশের বাসিন্দারা। কিন্তু সাদ্দামকে তাঁরা বের করে আনতে পারেননি। পুলিশ এবং সিআইএসএফ ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরকে। পাঠানো হয় আসানসোল হাসপাতালে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর সময় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
ঘটনার দিনই পরিত্যক্ত ওই খনি এলাকায় লোহা চুরির অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বছরখানেক আগে ওই এলাকাতেই ভূগর্ভে লোহা চুরি করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি দুই কিশোর। ফের পরিত্যক্ত ঘরে ছাদ ধসে তিন কিশোরের চাপা পড়ার ঘটনায় সিআইএসএফের সামনে বিক্ষোভও দেখান এলাকার কিছু লোকজন। সোমবার সিপিএমের অজয় জোনালের ৪ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক সুজিত দত্ত অভিযোগ করেন, লোহা চুরির ঘটনা ঘটলেও এরিয়া কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তাঁরা কোনও রকম অভিযোগও করেন না। শ্রীপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার সুজিত সরকার অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “আমরা প্রায়ই লোহা ও কয়লা চুরির অভিযোগ দায়ের করি।” তবে রবিবারের ঘটনায় এখনও কেন তাঁরা কোনও অভিযোগ করেননি, তার কোনও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
আসানসোলের এডিসিপি ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেন ওই কিশোরেরা পরিত্যক্ত খনির ঘরে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” |