অল্প বয়েসে সাফল্য পাচ্ছেন। মাথা ঘুরে যাচ্ছে না তো?
না। পা মাটিতেই আছে। আমি মনে করি না এমন বিশাল কিছু করে ফেলেছি। তবে এটা দেখে ভাল লাগছে যে, আমাদের ছবি হয়তো আবার অনেক বাঙালিকে বাংলা ছবিতে ফিরিয়ে আনছে। তাঁদের ছবির প্রতি ভালবাসাটা বাংলার জন্য জরুরি।

জীবনের বেশ কিছুটা সময় তা হলে নিউ ইয়র্কেই কাটিয়ে দিয়েছেন।
মৈনাক: হ্যা। অনেকটা সময় কেটেছে নিউ ইয়র্কে। ছেলেবেলায় গরমের ছুটির সময় কলকাতায় এবং সাঁতরাগাছিতে মামার বাড়িতে আসতাম, থাকতাম।

কলকাতায় চলে এলেন কেন?
মৈনাক: ভারতীয় ফিল্ম মেকার মানেই প্রবাসী ভারতীয়দের বা ইমিগ্রান্টদের নিয়েই ছবি বানাবেন এটাই আমেরিকান দর্শকরা চান। ছোটবেলায় এত বার কলকাতায় এসেছি, কলকাতার প্রতি এত টান! তার কী হবে? আর একটা কারণ হল, যে কলকাতা সম্বন্ধে আমার মা-বাবা-কাকা-কাকিদের কাছ থেকে গল্প শুনে এসেছি, আজকের কলকাতার সঙ্গে কিন্তু কোনও মিল নেই। এখন বাঙালি ভ্যালেন্টাইনস ডে সেলিব্রেট করছে, চকোলেট ডে সেলিব্রেট করছে, এই কলকাতাকে রিপ্রেজেন্ট করা দরকার বলে মনে করলাম।

পড়াশোনা কোথায়? বাড়িতে কে কে আছেন?
মৈনাক: বাড়িতে বাবা-মা ও দাদা আছেন। আমার স্কুলিংয়ের প্রথম দিকটা নিউ ইয়র্কেই, শেষ দিকটা কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স ও ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। আবার কলেজ-ইউনিভার্সিটিটা নিউ ইয়র্কে। আমি ইকনমিক্সের ছাত্র।

ফিল্মি লাইনে এলেন, বাড়িতে কেউ আপত্তি করেননি?
মৈনাক: না। ইনফ্যাক্ট উল্টে সাহায্যই করেছেন বাড়ির লোকজন। আমার বাবা মনোজ ভৌমিক ছিলেন লেখক। ডকুমেন্টারি ফিল্মও বানিয়েছেন। কাকা মৃণাল ভৌমিক এ ব্যাপারে খুব সাহায্য করেছিলেন। প্রথম সিনেমা দেখা ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেনের ছবি, ইউরোপিয়ান ছবি, আমেরিকান ছবি দেখার নেশাটা কাকার সূত্রেই পাই।
এডিটর, পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের কি কোনও স্বপ্ন আছে?
মৈনাক: অবশ্যই। বাংলা সিনেমা পিছিয়ে পড়েছে এ রকম একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। আমার স্বপ্ন, বাংলা সিনেমা ’৬০-’৭০-এর দশকে যেমন দাপটে একটা জায়গা করে নিয়েছিল, আবার সে রকমই একটা জায়গায় পৌঁছে দেওয়া।

প্রথম প্রেমে কবে পড়েছিলেন?
মৈনাক: প্রেমে পড়েছিলাম কি না বলতে পারব না। তবে প্রেম এক বার জেগেছিল। তখন আমার ১৫-১৬ বছর বয়স হবে। নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে বসে বই পড়ছি। দূরে একটি মেয়ে সেও বই পড়ছে। হঠাৎ মনে হল সে যেন আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। কিছুক্ষণ পর রিয়েলাইজ করলাম আমার পাশে বসা ছেলেটির সঙ্গে তার ইশারায় কথা হচ্ছে। তারই বয়ফ্রেন্ড। ভাগ্যিস, তখন আমাকে দেখার কেউ ছিল না, না হলে যে কী কেলোটা হত!

মেয়েদের মতো লম্বা চুল রেখেছেন কেন?
মৈনাক: জানি না। মেয়েদের মতো দেখতে বলে বোধ হয়।

মানে, ভুল করে লোকজন মেয়ে ভেবে বসে নাকি?
মৈনাক: (হেসে) হ্যা। সে আবার বলতে। যেহেতু আমার চুলটা লম্বা, সেহেতু বহু বার রাস্তায় আমায় মেয়ে ভেবে অনেক পুরুষই ভুল করেছে। এমনকী অনেক ছেলে আমার কাছে প্রেমের প্রস্তাব নিয়েও এসেছে।

যাক, বিয়েটা করছেন কবে?
মৈনাক: করব। কিছু দিনের মধ্যেই।

পাত্রী কি ঠিক করাই আছে? নামটা বলবেন?
মৈনাক: হ্যাঁ, অনেকটাই। নামটা বলা যাবে না।

ছবির নাম ‘বেডরুম’ কেন? এটা তো মহিলা-কেন্দ্রিক ছবি, ‘কিচেন’ও তো নাম দিতে পারতেন?
মৈনাক: (হো হো হো হাসি) ঠিকই বলেছেন! আমার কাছে প্রিয় জায়গা হল বেডরুম। যেখানে পছন্দের বইটা পড়তে পারি। আমার মনে হয়, একমাত্র বেডরুমেই একটি ছেলেকে বা মেয়েকে কোনও ভণিতা করতে হয় না।

আপনার প্রথম বাংলা ছবি ‘আমরা’ ছিল বাংলায় প্রথম সেক্স কমেডি, ‘বেডরুম’ও অনেকটা সেক্স রিলেটেড। বার বার সেক্সসুয়ালিটি নিয়েই ছবি করছেন কেন?
মৈনাক: আমার যেটা ইন্টারেস্টিং লাগে, সেটা হল সেক্সসুয়ালিটি নিয়ে হোক বা পলিটিক্স, বাঙালি, অন্তত আমার দেখা বাঙালি, কাজটা করার থেকে বেশি বলতে পছন্দ করে। আমার ছবিগুলোও যদি দেখেন, বুঝতে পারবেন সেখানে সেক্সটা কমই, হয়তো বা নেই। এটাই বাঙালির বিউটি। যদি কোনও দিন অ্যাকশন ছবিও বানায়, সেখানেও দেখবেন অ্যাকশন কম। অর্থাৎ আমার চরিত্ররা ‘যদি সামনে পেতাম মেরে পুঁতে দিতাম’, বা ‘ওই মেয়েটাকে তুলতে পারছিস না, আমি হলে টুসকি মেরে তুলে নিতাম’ আড্ডা মারতে মারতে এ রকম ধাঁচের কথা বলবে, কিন্তু সরাসরি অ্যাকশনে বা প্রোপোজ করতে যাবে না! (হাসি)
নতুন কী কী কাজ করছেন?
মৈনাক: ‘মাচ মিষ্টি অ্যান্ড মোর’ ছবির শুটিং চলছে। ‘আমি v/s তুমি’ রিলিজ করবে। এবং ‘চার দেয়াল’-এর স্ক্রিপ্ট তৈরি করছি।
অঞ্জন দত্তের ‘বং কানেকশন’-এ অ্যান্ডির চরিত্রের সঙ্গে আপনার চরিত্রের অনেকটাই মিল পাওয়া যায়। আপনাকে নিয়েই কি ‘বং কানেকশন’ তৈরি হয়েছিল?
মৈনাক: অ্যান্ডির চরিত্রের সঙ্গে আমার মিল আছে। শুধু আমারই নয়, প্রযোজক জয় গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনের সঙ্গেও মিল আছে।
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
সিপিএমের গুড়ে বালি দিয়ে ক্ষমতায় এসছেন বলেই কি তৃণমূল দলের সরকারের কাছে দিঘার ‘বালুকা বেলায়’ উৎসব সংগঠিত করাটা ধান চাষিদের দেখার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
অনিলাভ পুরকায়স্থ। টাকি

এ রাজ্যে ছাত্র আর কেউ নেই, সব ছত্রাক হয়ে গিয়েছে!
অরুণ গুপ্ত। নিউ রায়পুর রোড

এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বা উচ্চশিক্ষায় কেউ আর বঞ্চিত নয়। প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য থাকছে মধ্যাহ্নকালীন আহার আর মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য মধ্যাহ্নকালীন প্রহার!
মহম্মদ হাবিব সরদার। বিরামনগর

মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাকি বলেছেন, ভূমিষ্ঠ শিশুর ওজন দেড় কেজি হলে ভাল। নিন্দুকেরা বলছেন, উনি অপরিণত মানুষই বেশি পছন্দ করেন!
কচি সরকার। সমুদ্রগড়

আগেকার দিনে রাজারা রাজ্য শাসন ভোঁতা হয়ে গেলে অসি পালটাতেন। এখন তাঁরা থানার ‘ওসি’ পালটান!
নীতিশ চৌধুরী। কুলটি

দমকল কর্মীদের জন্য সত্যিই দুঃখ হয়। একটা আগুন নিভিয়ে এসে ‘দম’ ফেলতে না ফেলতেই আবার ‘কল’!
পি সেন। টালিগঞ্জ

উত্তরপ্রদেশের বিরোধী শিবিরগুলির আশঙ্কা, বিধানসভা ভোটে মায়াবতীর ‘ঢাকা হাতি’ লাখ টাকা দর পাবে!
রতন দত্ত। বাঘাযতীন

দলে ‘তরমুজবাবু’ রয়েছেন। খবরে প্রকাশ, লেবুবাবু দল পরিবর্তন করে আসতে পারেন। এত দিনের লড়াইয়ের সু‘ফল’ তৃণমূল হাতেনাতে পাচ্ছে!
দেবব্রত ঘোষ। সল্ট লেক

পরিবর্তনের পরেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে ধারাবাহিক নৈরাজ্যে বাংলার মানুষের করুণ গীত: ‘যদিও রজনী পোহাল তবুও দিবস কেন যে এল না।’
সায়ন্তন দত্ত। রবীন্দ্রপল্লি

‘মদন’ মিত্র পরিবহণ দফতরের ভার নিয়েছেন। কিন্তু পুরনো পাপীরা নাকি এখনও সগর্বে বলে চলেছেন, আরে রাখো রাখো, এতে ‘ভস্ম’ হবে
চিন্ময় গুপ্ত। কলকাতা

কলকাতার নতুন ছড়া: ট্যাক্সি থেকে হাসপাতাল রিফিউজাল আর রিফিউজাল!
ইন্দ্রজিৎ পাল। গড়ফা

‘জন অরণ্য’ ছবির প্রেস শো ছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী প্রেক্ষাগৃহে। সেখানে তাবড় সব চিত্রসমালোচকদের জটলা। রয়েছেন এন কে জি, সেবাব্রত গুপ্ত, মনুজেন্দ্র ভঞ্জ, মহেন্দ্র সরকার, সরোজ সেনগুপ্ত প্রমুখরা।
‘সেপ্টোপাসের খিদে’ বেতার নাটক করার সুবাদে সত্যজিৎ রায় তখন আমারও মানিকদা। ছবিতে একটি দৃশ্য ছিল যেখানে ছবির দ্রুত প্রতিষ্ঠানকামী নায়ক একটি বিশাল অর্ডার ধরার জন্য বক্রপথ ধরার কথা ভাবছে। একটি মেয়েকে কর্পোরেট কর্তার হাতে তাকে তুলে দিতে হচ্ছে। আর ঘটনাচক্রে যে মেয়েটিকে সে দিচ্ছে সে তারই বাল্যবন্ধুর বোন। দৃশ্যটি ছিল অত্যন্ত নাটকীয়।
দ্বন্দ্ব-বিক্ষুব্ধ নায়ক বাড়িতে এসে সোফায় বসে। তখন আবার লোডশেডিং। জ্বলন্ত মোমবাতির মধ্যে সে নিজের আঙুলটি নাড়াচাড়া করে চলেছে। ও দিকে তখন আবহবিহীন রবীন্দ্রনাথের গান ভেসে আসছে ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’। গানে ছিল শুধু সামান্য রিভার্ব। মানিকদাকে সামনে পেয়ে প্রশ্ন করে ফেললাম, মানিকদা, গানের দৃশ্যটি ভারী সুন্দর লাগল। আপনি কি এর সোর্স রেডিয়ো বলতে চেয়েছেন? মানিকদা কয়েক মুহূর্ত চুপ করে বললেন, ‘হ্যাঁ, কেন?’ আমি বললাম, রেডিয়োতে একমাত্র রাষ্ট্রীয় শোক ছাড়া কখনও ইন্সট্রুমেন্ট-বিহীন গান বর্ডকাস্ট হয় না। ভ্রু কুঁচকে গেল ওঁর। একটু থেমে ঝাঁঝের সঙ্গে বললেন, ‘হওয়া উচিত।’ আমি আর কথা বাড়ালাম না। এটা ঠিকই, ওই সঙ্গীতের সিকোয়েন্সটি এবং নায়ক চরিত্রের অভিনেতার প্রদীপের অগ্নিশিখার উপর অঙ্গুলি সঞ্চালনার প্রতীকী চিত্রকল্প আজও ভুলতে পারিনি। পরিণত বয়সে এসে মনে হয় গভীরতর সত্যকে স্পর্শ করার জন্য বাস্তবের সত্যকে অস্বীকার করার অধিকার এক জন শিল্পীর রয়েছে, যা সত্যিই সত্যজিতোচিত।
বাকরোধী যত হোমরা চোমরা।
রুশদির আসা ঠেকালে তোমরা।
কেন গা-জোয়ারি মিথ্যে বড়াই?
এই ভাবে জেতো কোন বা লড়াই?
আসলে কি খেলা খানিক অন্য,
ইউ পি নির্বাচনের জন্য?
গলা টিপে যারা মচাও হাল্লা,
তাদের জন্যে ঘুঁটের মাল্লা

পাপিয়া খাতুন, তুফানগঞ্জ
ক্ষমা করিনি
বাবার নিজের বোন না থাকায় যৌথ পরিবারে তুতো বোনেরাই বাবাকে বড়দা জ্ঞানে সম্মান করতেন। অথচ মৃত্যুর আগে তাঁদের এক জনের কাছ থেকেই বাবার কপালে জুটল অপমান। ২০০৫ সাল, বাবা দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত। ছোট পিসির সঙ্গে সামান্য কোনও কারণে তখন মনোমালিন্য ছিল, তখনই তাঁর একমাত্র ছেলের বিয়ে লাগল। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকায়, সেই বিয়েতে যোগ দিতে পারিনি। দিন কয়েক পরে এক রবিবার সন্ধেবেলা ছোট পিসি এ বাড়িতে তাঁর বউমাকে দেখাতে এনেছেন। অসুস্থ বাবাও আশীর্বাদের টাকা হাতে নিয়ে কোমরে বালিশ ঠেক দিয়ে কোনও রকমে উঠে বসেছেন। ছোট পিসি তাঁর বউমা ও সঙ্গীদের নিয়ে আমাদের ঘরের সামনে দিয়ে চলে গেলেন। বাবা কিন্তু ঠায় বসে, চোখে জল, মুখে যন্ত্রণার ছাপ। এই ঘটনার এগারো দিন বাদে বাবার মৃত্যু হয়। মৃত্যুপথযাত্রী বাবার সঙ্গে এই নিষ্ঠুর ব্যবহারের জন্য ছোট পিসিকে আমি আজও ক্ষমা করিনি।
নীপা পাল,
কলকাতা

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.