উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা সেপ্টেম্বরের বেতনের ১০ শতাংশ পাননি। নভেম্বর মাসের ২৫ শতাংশ বেতন বকেয়া। ডিসেম্বর মাসের বেতনও বিলি হয়নি। বেতন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কমবেশি সব কর্মীই। এই অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময়ে অসুস্থ হয়ে এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। ওই চালকের নাম ভবেন্দ্রনাথ সরকার (৫৬)। তাঁর বাড়ি দিনহাটার ঝুড়িপাড়ায়। বৃহস্পতিবার তিনি দিনহাটা থেকে বাস নিয়ে রায়গঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছে তিনি আচমকা চালকের আসনেই অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। বাসটি দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়। তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে শুক্রবার তাঁর আত্মীয়রা মৃতদেহ আনতে রায়গঞ্জে রওনা হয়েছেন। বেতন না-পাওয়ার জন্য দুশ্চিন্তা থেকেই অসুস্থ হয়ে ওই চালকের টেনশনের জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার জেরে মৃত্যু হয় বলে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত চালকের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করা হবে। তিনি বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা। তবে অসুস্থতার কারণে মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে মাইনের জটিলতা গুলিয়ে ফেলাটা ঠিক হবে না।” এনবিএসটিসি সূত্রেই জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেও তিনি রায়গঞ্জগামী বাস নিয়ে রওনা দেওয়ার সময়ে কাউকে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানাননি। পরে সন্ধ্যায় বাড়ির লোকজন ভবেন্দ্রবাবুর অসুস্থতার কথা জানতে পারেন। তার পরেই বাড়ির লোকজনদের তরফে অভিযোগ করা হয়, মাইনে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরেই ভবেন্দ্রবাবুর দুশ্চিন্তা বেড়ে গিয়ে এমন হয়ে থাকতে পারে। ভবেন্দ্রবাবুর সন্তান নেই। তার স্ত্রী মালা দেবী ভাইপোর সঙ্গে রায়গঞ্জে গিয়েছেন। |