যাত্রী সেজে সরকারি বাসে উঠে লক্ষাধিক টাকা লুটপাটের পরে পালাল একদল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মালদহের কালিয়াচক থানা এলাকার জালালপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। দুষ্কৃতীরা বাস থেকে নেমে পালানোর সময়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “বাস ডাকাতির পরেই পুলিশ ও সাধারণ মানুষ তাড়া করে একজনকে ধরে ফেলে। পাশাপাশি গোটা ডাকাত দলের বাকিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চালছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সকালে বহরমপুর ডিপো থেকে উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের বাস জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিল। দুপুর ১২ টা নাগাদ কালিয়াচক থেকে বাসটি ছাড়ার পরই যাত্রী বেশি দুষ্কৃতীরা স্বমূর্তি ধারণ করে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, জালালপুরের কাছে দু’জন দুষ্কৃতী চালকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁকে আসন থেকে নামিয়ে দেয়। একজন দুষ্কৃতী বাস চালাতে থাকে। বাকি ৫-৬ জন পিস্তল উঁচিয়ে বাসের সমস্ত যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল, ব্যাগ লুট করে। ওই বাসে ফরাক্কা থেকে মালদহে জিনিষপত্র কিনতে আসছিলেন পূণর্চন্দ্র সরকার ও বরুণ সাহা। দুষ্কৃতীরা পুণর্চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা ও বরুণ সাহার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আরেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। প্রায় ২০ মিনিট ধরে লুটপাট চালানোর পরে ডাকাতরা ডাঙার কাছে বাস থামিয়ে নেমে পালিয়ে যায়। এরপর বাসের চালক সোজা ইংরেজবাজার থানায় বাসটি ঢুকিয়ে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, কালিয়াচকের ডাকাত দলটি ফরাক্কা থেকে যাত্রী সেজে উঠেছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসে জেলার বেশির ভাগ পুলিশ ব্যস্ত থাকার সুযোগে ডাকাতরা সরকারি বাসে ডাকাতি করে। তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়ার পাশাপাশি ১০-১২ জনের কাছ থেকে মোবাইল ও ঘড়ি, সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয়। |