নিজস্ব সংবাদদাতা • ফাঁসিদেওয়া |
প্রায় দু’মাস ধরে রান্নার গ্যাসের অমিলে ফাঁসিদেওয়ায় সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, ফাঁসিদেওয়ায় সরকারি অনুমোদিত কোনও গ্যাস ডিলার নেই। ক্যারিয়ারদের মাধ্যমে গ্রাহকদের গ্যাস সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ক্যারিয়ারেরা কৃত্রিম গ্যাসের সঙ্কট তৈরি করে গ্যাস নিয়ে কালোবাজারি করছেন বলে অভিযোগ। প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বাদশা ঘোষাল সব শুনে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলির সঙ্গেও কথা বলব।” প্রশাসনের এই আশ্বাসে অবশ্য সন্তুষ্ট নন এলাকার বাসিন্দারা কিংবা রাজনৈতিক দলের নেতারাও। এলাকার বাসিন্দা তথা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা আইনুল হক বলেন, “ফাঁসিদেওয়ায় গ্যাসের সঙ্কট নতুন কোনও ঘটনা নয়। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। প্রশাসনের কর্তাদের কাছে বহু বার বলা হয়েছে। সমস্যা মেটানো নিয়ে কেউ উদ্যোগী হননি। পরবর্তী বৈঠকেও বিষয়টি তোলা হবে। আমরা চাই এলাকায় সরকারি অনুমোদিত গ্যাস কাউন্টার খোলার ব্যবস্থা করা হোক।” তৃণমূলের ফাঁসিদেওয়া অঞ্চল সভাপতি পলাশ বিশ্বাসের অভিযোগ, ক্যারিয়াররা গ্যাস সিলিন্ডার এনে মজুত করে রেখে কালোবাজারি করছে। তাঁর প্রশ্ন, “চা, মিষ্টির দোকান ও হোটেলে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। গ্যাসের কালোবাজারি করে সাধারণ বৈধ গ্রাহকদের সমসায় ফেলা হচ্ছে। প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গ্রাহকদের স্বার্থে গ্যাসের অমিলে প্রশাসনের কর্তারা ব্যবস্থা না নিলে গ্রাহকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কোথাও অনুমোদিত ডিলার নেই। অথচ গোটা ব্লক জুড়ে অন্তত ১০ হাজারের উপর গ্রাহক রয়েছে। অথচ কোনও ডিলার নেই। সিপিএম নেতা গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, “রান্নার গ্যাস নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে পড়ে। এই নিয়ে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে।” |