ধসায় বিপন্ন আলু খেত, উদ্বেগ বাড়ছে চাষিদের
সা রোগের কবলে পড়ছে জলপাইগুড়ি জেলার আলু চাষের দশ শতাংশ জমি। রোগের প্রকোপে আলু হওয়ার আগেই ব্যাপক হারে গাছ নষ্ট হতে শুরু করেছে। জেলা কৃষি দফতরের তথ্য বলছে, জেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর আলুর জমিতে ধসা রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বেসরকারি হিসেবে ওই জমির পরিমাণ আরও বেশি। গত সপ্তাহের শেষের দিকে কৃষি দফতরের কাছে প্রথম ধসা রোগের সংক্রমণের খবর আসে। চলতি মরসুমে জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। সংক্রমিত আলু-জমির পরিমাণ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন কৃষি দফতর। রোগের প্রকোপ ঠেকাতে কৃষকদের কী ধরণের ওষুধ ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তার বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিলি করছে কৃষি দফতর। জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে রাজ্য কৃষি দফতরেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা শস্যরক্ষা আধিকারিক তপন সরকার বলেন, “এই জেলার ৫টি ব্লক থেকেই ধসার খবর পাওয়া গিয়েছে। কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সর্তক করতে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। গত বারেও জেলায় ধসার প্রকোপ দেখা গিয়েছিল, তবে তা সামান্যই ছিল।” গত বছর বছর আলুর দাম না-মেলা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে কৃষকদের। উৎপাদিত আলু বিক্রি করে বাড়তি দামের আশায় যাঁরা হিমঘরে আলু রেখেছিলেন তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে হিমঘরের আলু কৃষকেরা ফিরিয়ে নিতে রাজি হননি। এদিকে জমি থেকে নতুন আলু আসতে শুরু করায় হিমঘর কর্তৃপক্ষ সেই আলু বিলি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তার মধ্যে ধসা রোগ ছড়ানোয় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মালবাজার, ফালাকাটা এবং সদর ব্লকেই একের পর এক জমিতে আলু গাছে ধসার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ময়নাগুড়িতেই ধসা রোগের সংক্রমণের ঘটনা সর্বাধিক। ব্লকের প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে ধসা রোগের খবর পেয়েছে কৃষি দফতর। ময়নাগুড়ির পরেই রয়েছে ধূপগুড়ি। এই ব্লকের প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে ধসা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে বেসরকারি তথ্য অনুসারে জেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধসা প্রকোপ দেখা গিয়েছে। জেলার এক কৃষি আধিকারিকের কথায়, জেলার সর্বত্রই ধসার প্রকোপ দেখা গিয়েছে। সরকারিভাবে সব তথ্য হাতে আসতে কিছুটা লাগে। জেলার মোট আলু চাষের জমির মধ্যে গত এক সপ্তাহের মধ্যেই ধসার প্রকোপ মোট জমির ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় পরবর্তী সময়ে ধসা কী আকার ধারণ করবে তা নিয়েই চিন্তিত প্রশাসনের কর্তারাও। তাপমাত্রার ক্রমাগত ওঠানামা এবং কুয়াশার জন্যই ধসা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই তিন সপ্তাহে তাপমাত্রা খুব একটা ওঠানামা করবে না। তাতে ধসার আক্রমণ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছে কৃষি দফতর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.