আর্থিক টানাটানি চলছে রেলেও। তারই মধ্যে রেলের ‘বেঙ্গল প্রজেক্ট’ রূপায়ণ কী ভাবে ত্বরান্বিত করা যায়, তা নিয়ে শুক্রবার কলকাতায় পূর্ব রেলের সদর দফতরে রাজ্যের পরিবহণ দফতর এবং রেলকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী।
জমি অধিগ্রহণ অথবা বিভিন্ন এলাকায় রেললাইন তৈরির ব্যাপারে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়া নিয়ে কয়েকটি প্রকল্পে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই সব জটিলতা কাটাতেই এই বৈঠক বলে রেলকর্তারা জানান। রেলমন্ত্রী চান, বেঙ্গল প্রজেক্টের ব্যাপারে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য রাজ্য সরকারের বিশেষ কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। তাঁর সেই ইচ্ছা অনুসারে এ দিনই রাজ্যের এক প্রতিনিধিকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পের তত্ত্বাবধানের জন্য একটি কমিটিও গড়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ওই কমিটি মাসে অন্তত দু’বার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসবে।
বেঙ্গল প্রজেক্ট রূপায়ণে টাকার জোগান আসবে
কোথা থেকে?
এই প্রশ্নের উত্তরে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় মিত্তল জানান, প্রতি বছরের মতো এ বারেও সাধারণ বাজেট থেকে এই ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া হবে। সেটা পাওয়া যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর আমলে তৈরি করা পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলেও আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে রেল। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বীকার করে নেন, গত তিন বছরে ওই মডেলে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি
জানান, রেলের স্বার্থ বজায় রেখেই পরিবর্তনের ব্যবস্থা হবে।
মেট্রো রেলের সিগন্যালিং সিস্টেম উন্নত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রী এ দিন জানান, শীঘ্রই মেট্রোয় ‘ট্রেন প্রোটেকশন অ্যান্ড ওয়ার্নিং সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। রেলের অন্যান্য জোনের সিগন্যলেও এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে মেট্রোর নতুন রেক এসে যাবে বলে মন্ত্রী জানান। তখন সব পুরনো রেকই পাল্টে দেওয়া হবে। এ দিনের বৈঠকে কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেট্রো ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারেরাও উপস্থিত ছিলেন। |