স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের (স্যাট) নির্দেশে শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ‘হায়ার’ এবং ‘জুনিয়র’ অডিটর অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিস মিশে গেল। দু’ ক্ষেত্রেই একই বেতনক্রম হবে। ১০ বছর আগেই রাজ্য সরকারের জুনিয়র অডিটর সার্ভিসের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছিল। ২০০৯ সালে রাজ্য সরকার ঘোষণা করে, ‘হায়ার’ বা ‘জুনিয়র’ বলে কিছু থাকবে না। অর্থ দফতরের সব অফিসার একটিই ‘অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিস’-এর আওতাভুক্ত হবেন। এর বিরুদ্ধে স্যাটে মামলা করেছিলেন ‘হায়ার’ গ্রুপের অফিসাররা। কিন্তু সম্প্রতি সেই মামলায় তাঁরা পরাজিত হন।
এ বারে নতুন নির্দেশের ফলে দুই শ্রেণির অফিসারদের মধ্যে আর কোনও পার্থক্য থাকল না। ‘প্রোগ্রেসিভ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক ইন্দ্রনীল রায় বলেন, “এর ফলে দীর্ঘ দিন আটকে থাকা পদোন্নোতির বাধাও দূর হল।”
|
দীর্ঘ দু’বছর পর বড় মাপের কোনও জাপানি শিল্প-প্রতিনিধিদল পা রাখল রাজ্যে। পরিকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, গাড়ি-সহ বিভিন্ন শিল্পে লগ্নির আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। খোঁজখবর নিয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে। শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু বলেন, “শিল্প গড়লে, কী ধরনের আর্থিক সুবিধা পাওয়া যাবে, তা জানতে চেয়েছেন ওঁরা। আর আমরা জানিয়েছি জমি-ব্যাঙ্ক তৈরির কথা।” তা ছাড়া বন্ধ কারখানা হাতে নিতে জাপানি শিল্পপতিদের অনুরোধ করেছে রাজ্য। প্রতিনিধিদলে ছিলেন মিৎসুবিশি কেমিক্যালস, মিৎসুই, তোশিবা, জেবিআইসি, নিপ্পন স্টিল, ব্যাঙ্ক অফ টোকিও-সহ জাপানের বিভিন্ন প্রথম সারির সংস্থার কর্তারা। হলদিয়াও যান জাপান-ভারত বিজনেস কো-অপারেশন কমিটির ৩৫ জন সদস্য। সেখানে মিৎসুবিশি কেমিক্যালস কারখানা পরিদর্শন করেন তাঁরা।
|
দু’দিনের সফরে সুন্দরবন যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফর চূড়ান্ত করতে শুক্রবার বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন ৩১ জানুয়ারি। ফিরবেন তার পরের দিন। মহাকরণ সূত্রের খবর, সুন্দরবনে আয়লা-বিধ্বস্ত কিছু এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কর্মসূচির মধ্যে আছে পর্যটনের বিকাশ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক। সজনেখালি ট্যুরিস্ট লজ-সহ পর্যটনের কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখারও কথা আছে তাঁর। সুন্দরবন সফর সেরে, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তিন দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাই পরিদর্শন করার কথা আছে তাঁর। মূলত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ১০ ফেব্রুয়ারি রওনা হয়ে মমতার ফেরার কথা ১২ তারিখে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের এক কর্তা অবশ্য জানান, উত্তরবঙ্গ সফরসূচি চূড়ান্ত হবে একেবারে শেষ মুহূর্তে। |