|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ২... |
|
অতীত ও বর্তমানের সেতুবন্ধন |
ব্রাহ্মণ মনীষীরা যেমন সমাজকে শাস্ত্র, বিজ্ঞান, জ্যোতিষ, আয়ুর্বেদ, গণিত ইত্যাদি দিয়েছে, তেমনই দৈনন্দিন জীবনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রাথমিক জ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যায় অনেক কিছুই নিশ্চয়ই শূদ্রেরই উদ্ভাবন। গাড়ির চাকা, কুমোরের চাক, তাঁতির তাঁত, রাজমিস্ত্রির মাপজোকের নকশা ও যন্ত্র, চাষের সেচপদ্ধতি, ঘর ছাওয়ার কৌশল, মাছ ধরার নানা ধরনের জাল... এ সব নিশ্চয়ই শূদ্রেরই উদ্ভাবন ও সৃষ্টি। ... কিন্তু শাস্ত্র, পুরোহিত ও উচ্চবর্ণের কাছে নারী বা শূদ্র কেউ পুরোপুরি মানুষ নয়।’ প্রাচীন ভারত বইয়ে লিখছেন সুকুমারী ভট্টাচার্য। এর সঙ্গে নব্বই-উত্তীর্ণ এই অগ্রগণ্য ভারততাত্ত্বিকের আরও দু’টি বই প্রাচীন ভারতে নারী ও সমাজ এবং প্রাচীন ভারত: সমাজ ও সাহিত্য নিয়ে প্রকাশ পেল প্রবন্ধসংগ্রহ ১ (গাঙচিল, ৫০০.০০)। শুধু অতীতের বিবরণ নয়, বিপুল প্রজ্ঞায় অতীত-বর্তমানের সেতুবন্ধন।
‘আমি যে ধরণের লিখি তাতে বইয়ের কাটতি হওয়ার খুব সম্ভাবনা নেই।’ ডায়েরিতে লিখেছিলেন অসীম রায়। কিন্তু এই বুদ্ধিমার্গী ঔপন্যাসিকের নিশ্চিত ভাবেই একটি পাঠকসমাজ আছে, নইলে এবং মুশায়েরা থেকে তাঁর উপন্যাস সমগ্র/চতুর্থ খণ্ড (সম্পা: বীতশোক ভট্টাচার্য, ৩০০.০০) বেরত না। ভূমিকা-য় রবিন পাল লিখেছেন ‘তাঁর গল্পে উপন্যাসে গাল্পিক গৌণতা থাকলেও ভাবনার গৌণতা, লঘুতা, যুক্তিহীনতা নেই, সীমাবদ্ধতা থাকলেও নিষ্ঠার অভাব নেই।’
‘ফ্রি হিন্দুস্তান’ পত্রিকার সম্পাদক তাঁর কাগজের দু’টি কপি পাঠিয়েছিলেন লিয়ো তলস্তয়কে, সঙ্গে তাঁকে লেখা একটি চিঠি। জবাব দিয়েছিলেন তলস্তয়, দীর্ঘ এক চিঠিতে ভারতের ওপর ব্রিটিশদের অন্যায় প্রভুত্বের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, মুক্তিকামী ভারতবাসী যেন অহিংসার পথে অবিচল থাকেন। ১৯০৮ সালের ডিসেম্বরে লেখা সেই চিঠি যাঁর হাতে এসে পৌঁছয়, তাঁর নাম মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী। ১৯০৯ সালের শেষে তিনি একটি ভূমিকা সহ সেটি প্রকাশ করেন, গুজরাতি সহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থাও করেন। আ লেটার টু আ হিন্দু (লোক সেবা শিবির, ৪৫.০০) বইটির পরিবেশক মনফকিরা।
‘শিল্পবোধের কোনো আইন থাকতে পারে না। মন্দ হলে টিকবে না। পাঠকই দূরে সরিয়ে দেবে।’ স্বভাবসিদ্ধ সার্ত্রে। তাঁর কথাবার্তার অনুবাদ এ বার উৎপল ভট্টাচার্যের সম্পাদনায়: মুখোমুখি জাঁ পল সার্ত্রে/ জাঁ পল সার্ত্রের সাক্ষাৎকারের নির্বাচিত সংকলন (কবিতীর্থ, ১৫০.০০)। |
|
|
|
|
|