|
|
|
|
প্রজাতন্ত্র দিবসে মাতল বলরামপুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বলরামপুর |
এ বার প্রজাতন্ত্র দিবস অন্য রকম কাটল বলরামপুরের ঘাটবেড়া কেরোয়া এলাকায়। ছিল না মাওবাদীদের ‘কালা দিবসের’ ডাক। তাই পুলিশের ডাকে বৃহস্পতিবার কেরোয়া হাইস্কুলের মাঠে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাসিন্দারা যোগ দিলেন। সেখানে দিন ভর হল নানা প্রতিযোগিতা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিষয়ক মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, রাজ্য পুলিশের আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী প্রমুখ। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
গত কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কট করার ডাক দেয় মাওবাদীরা। প্রশাসন আশ্বাস দিলেও মাওবাদীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জঙ্গলমহলের আমজনতা অবশ্য রাজ্যের অন্যান্য এলাকার বাসিন্দাদের মতো দিনগুলি পালন করতে পারেন নি। অযোধ্যা পাহাড়ের কিছু এলাকায় মাওবাদীরা কালো পতাকা তুলে বাসিন্দাদের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছিল। রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে বলরামপুরে তৃণমূলের একাংশের তৈরি করা ‘জঙ্গলমহল উন্নয়ন বিরোধী প্রতিরোধ কমিটি’ এলাকার পথভ্রষ্টদের মাওবাদীদের সংস্পর্শ ছেড়ে সমাজের মূল স্ত্রোতে ফেরার ডাক দিয়েছিল। তারুপরেও রক্ত ঝরেছে বলরামপুরে। তবে কিষেনজি’র মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় মাওবাদীদের নাশকতা বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশের আয়োজিত প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তাই বাসিন্দাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতোন। শিশুদের বসে আঁকো, মহিলাদের কবাডি, দৌড়-সহ নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) বলেন, “মাওবাদীদের অস্তিত্ব এখনও রয়েছে। তবে ওদের আর আগের মতো শক্তি নেই। পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক সর্ম্পক গড়ে তোলার জন্য আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। জঙ্গলমহলের মহিলাদের নিয়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা করা হবে। ঝুমুর গানেরও প্রসার ঘটানো হবে।” |
|
|
|
|
|