|
|
|
|
অনুষ্ঠান নিয়ে সংঘর্ষ তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তালড্যাংরা |
প্রজাতন্ত্র দিবসে একই জায়গায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে গণ্ডগোল বাধল। মারামারিতে জখম হলেন কয়েকজন। বৃহস্পতিবার বিকেল ঘটনাটি ঘটে তালড্যাংরা থানার গামারবনি এলাকার একটি ক্লাবের মাঠে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা গুরুদাস দণ্ডপাটের নেতৃত্বে কিছু দলীয় কর্মী প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান করেন ওই মাঠে। সেই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই তৃণমূল নেতা প্রদীপ প্রতিহারের অনুগামীরা সেখানেই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান করতে চলে আসেন। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। তা থেকে হয় হাতাহাতি ও লাঠালাঠি।
প্রদীপ-গোষ্ঠীর অভিযোগ, তাদের লোকজনকে মারধর করেন গুরুদাসবাবুর অনুগামীরা। প্রদীপবাবুর হাতে থাকা জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রদীপবাবুর ছয় অনুগামীকে জখম অবস্থায় তালড্যাংরা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। গুরুদাসবাবু-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মারধর ও জাতীয় পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রদীপবাবু। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গুরুদাসবাবুর পাল্টা দাবি, “জাতীয় পতাকা মোটেও পোড়ানো হয়নি। বরং আমাদের সভা শেষ হওয়ার আগেই প্রদীপবাবু কিছু দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের উপরে হামলা করতে গেলে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়। মার খাওয়ার ভান করে কয়েক জনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করেছিল বলে শুনেছি। ওঁদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” প্রদীপবাবু নিজেকে তৃণমূলের তালড্যাংরা অঞ্চল কমিটির প্রাক্তন সভাপতি হিসাবে দাবি করেছেন। উল্টোদিকে গুরুদাসবাবুর বক্তব্য, “প্রদীপ এখন দলের কেউ নন। আমিই বর্তমানে এলাকায় দলের নেতৃত্বে রয়েছি।” বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী শুক্রবার বলেন, “দলে গোষ্ঠীবাজি বুঝি না। জাতীয় পতাকা পোড়ানোর মতো যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কঠিন শাস্তি পাওয়া উচিত।” জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানিয়েছেন, জাতীয় পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। |
|
|
|
|
|