পূর্ব কলকাতা
বিধাননগর
উষ্ণতার মেলায়
মে উঠেছে বিধাননগর মেলা।
দেশ কিংবা রাজ্য তো রয়েছেই। রয়েছে ঘানা, পাকিস্তান, চিনের মতো বিভিন্ন দেশের বাহারি জিনিসপত্রের স্টল। ফলে প্রতি বছরের মতো এ বারেও বিধাননগরবাসীদের সন্ধ্যার একটি বড় অংশ কাটছে মেলা প্রাঙ্গনে। বাদ যাচ্ছেন না বিধাননগরের আশপাশের এলাকার মানুষও।
প্রতি বছরই মেলার এই কয়েকটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন বিধাননগরের মানুষ। তার উপর এ বছর মেলা পরিচালনা কে করবে তা নিয়ে পুজোর আগে থেকেই হইচই শুরু হওয়ায় উৎসাহের পারদ চড়েছিল অনেক দিন আগে থেকেই। শেষ পর্যন্ত বিধাননগর পুরসভাকে এই মেলার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রথম বিধাননগর মেলা সরাসরি রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। মেলা চলবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এফই ব্লকের বাসিন্দা সাহানা মিত্রের কথায়: “অন্যান্য বছরের মতোই প্রচুর কেনাকাটা করেছি। এ বছর মেলায় বেশ একটা চকচকে ভাব রয়েছে। এ বছর মেলায় এসে এমন অনেক সেলিব্রিটিকে খুব কাছ থেকে দেখলাম যাঁদের আমরা সব সময় টেলিভিশনে দেখে থাকি।
এটা অবশ্যই একটা বড় প্রাপ্তি। এর আগে এমনটা দেখিনি।”
মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য প্রতি বছরেই নামী-দামি শিল্পীর অনুষ্ঠান রাখা হয়। সাংস্কৃতিক কমিটির চেয়ারম্যান অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “মেলায় স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, লোপামুদ্রা মিত্র কিংবা বাংলা ব্যান্ড ভূমি-র পাশাপাশি অনুষ্ঠান করেছেন বাপ্পি লাহিড়ী।” পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “হঠাৎ করেই সরকার মেলা করার দায়িত্ব দিয়েছিল পুরসভাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। মানুষের সহযোগিতা পেলে আগামী বছর মেলাকে আরও বড় কলেবরে সাজানো যাবে বলেই মনে হয়।”
এখন প্রতি সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে ঢুকলেই চোখে পড়ছে বিভিন্ন স্টলে উপচে পড়া ভিড়। তবে কেনাকাটার মাঝেই আবার শীতের সন্ধ্যায় চা-কফির সঙ্গে এ দিক-সে দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছে আড্ডাও।

ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.