টিভিতে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দেখলে রক্তাক্ত হই, বললেন কপিল |
ক্রিকেট নিয়ে কথাই বলতে চান না, তবু বলে ফেললেন ভারতীয় ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়ার কথা। জানিয়ে দিলেন, “আমাদের ঐতিহ্যকে আগে সম্মান জানানো দরকার। সেটা শুধু ক্রিকেট নয়, সব ক্ষেত্রেই। এমনকী খাওয়াদাওয়াতেও।”
বন্ধু অশোক মলহোত্রের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শহরে আসা। স্ত্রী কন্যা সহ শহরে কপিল দেব। সন্ধ্যায় ডিনার করতে এসেছিলেন পার্ক সার্কাসে নিজের পছন্দসই রেস্তোরাঁয়। সঙ্গে সস্ত্রীক মদন লালও। চিকেন রেশমি কাবারের টুকরো মুখ গাঁথতে গাঁথতে কপিল আনন্দাবাজারকে বলছিলেন, “এখানকার মুঘলাই খানার কথা অনেক শুনেছি। তাই পরখ করতে চলে এসেছি। দেখে ভাল লাগছে খাবারটা খাঁটি ভারতীয়, পরিবেশটাও। আমরা আসলে মাঝে মাঝে নিজেদের ট্র্যাডিশনটা, ভারতীয়ত্বটা ভুলে যাই তো!”
মানে আপনি বলতে চাইছেন, ক্রিকেটেও ভারতীয় ট্র্যাডিশনে ফিরে যেতে। ডানকান ফ্লেচার কোচ হওয়ার পরে তো বিদেশে টানা আটটা টেস্টে হার ভারতের? ভারতীয় কোচ থাকলে এর চেয়ে খারাপ কিছু হত? কপিল মুচকি হাসেন, “ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে আসিনি। ভারতীয় খাবার খেতে এসেছি। ওই যে বললাম, ভুললে চলবে না আমরা ভারতীয়। এই দেশের মতো বৈচিত্র্য আর কোথাও আছে নাকি? ক্রিকেটে আছে, বিজ্ঞানে আছে, সাহিত্য আছে। সব ক্ষেত্রেই আমাদের দেশে সেরারা রয়েছেন। তাঁদের সম্মান করা উচিত।” ললিত মোদী আজই দাবি করেছেন, আপনাকে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয়ের তদন্ত করা উচিত। বোর্ড প্রস্তাব দিলে ভেবে দেখবেন? এ বার অটোগ্রাাফ দিতে দিতে কপিলের হাসি, “এসব বলেছে বুঝি? কে কী বলেছে জানি না। আমার কথা বাদ দিন।”
অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজটা টিভিতে দেখেছেন? টিভি খুললে ভারতীয় হিসেবে কষ্ট হয় না? “নিশ্চয়ই হয়। ক্রিকেট অল্পস্বল্প খেলেছি বলে হয়, ভারতীয় হিসেবে রক্তাক্ত হই। আপনার যেমন হচ্ছে, আজ এখানে খেতে এসে আমারও হচ্ছে। টিভি খুলতে ভাল লাগে না।” কিন্তু সমাধান কী? “আমি কী বলব বলুন তো? এসব আমাদের ভারতীয় বোর্ডের ব্যাপার। ওরা তো যথেষ্ট বুদ্ধিমান। নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করবে,” খেতে খেতে বললেন কপিল। তার পরই যোগ করলেন, “আমি তো গল্ফ নিয়ে বেশ আছি। মাঝে মাঝে টুর্নামেন্টও খেলি। গল্ফের সার্কিটে কী হচ্ছে খবর রাখি। বেশ আছি।” কথায় কথায় উঠল তিরানব্বইয়ের হিরো কাপ ফাইনাল, তাঁর অসাধারণ স্পেল, তার সাত-আট বছর আগে ইডেনে ‘নো কপিল, নো টেস্ট’ পোস্টার। মনে আছে সেসব? কপিল হাসেন, “নিশ্চয়ই। কলকাতা ভীষণ প্যাশনেট। এই প্যাশনটা আমাকে টানে। এখনও।” |