|
|
|
|
পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে ‘হুমকি’র অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
‘সুবিচার’ চেয়ে হুগলির পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন গোঘাটের তিন নিহত তৃণমূল সমর্থকের বাড়ির লোকজন। পাশাপাশি, ওই খুনের অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য এক পুলিশ অফিসার ‘হুমকি’ দিচ্ছেন বলেও তাঁরা পুলিশের সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। ওই খুনের ঘটনাতেই অন্যতম অভিযুক্ত হলেন সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির প্রাক্তন জোনাল সম্পাদক অভয় ঘোষ, যিনি সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন।
২০০৬ সালে গোঘাটের লালপুর গ্রামে তিন তৃণমূল সমর্থক জালেম শাহ, মাজেদুল মল্লিক ও হাসান মল্লিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সিপিএমের পার্টি অফিসে খুনের অভিযোগ ওঠে। এক জন কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন। নিহতদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের ‘হুমকি’র জেরে তখন থানায় কোনও অভিযোগ করা যায়নি। ঘটনার ছ’বছর পরে কিছু দিন আগে নিহত তিন জনের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগ হয়। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর। নিহতদের পরিবারের লোকেদের নিয়ে শুক্রবার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত পুলিশ সুপারের কাছে যান। তাঁরা অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মুখে। এই অবস্থায় গোঘাট থানার প্রাক্তন ওসি (ঘটনার সময় কর্মরত) বরুণ ঘোষ ওই তিন পরিবারকে অভিযোগ ‘প্রত্যাহারের’ জন্য ফোনে ‘হুমকি’ দিচ্ছেন। নিহত জালেমের স্ত্রী রাবেয়া বিবি বলেন, “আমার চোখের সামনে স্বামী-সহ তিন জনকে খুন করা হয়। অভয় ঘোষের নেতৃত্বেই সব হয়েছিল। যারা মেরেছিল, তারা এত দিন আমাদের প্রাণে মারার হুমকি দিত। ওই ওসি-ও ওদের সঙ্গে ছিলেন। এখনও তিনি হুমকি দিচ্ছেন।” নিহত মাজেদুলের ছেলে লালমোহন মল্লিক বলেন, “আমরা তৃণমূল করতাম বলে বাবার সঙ্গে অন্যদের নামে ছিনতাইয়ের বদনাম দিয়েছিল অভয় ঘোষেরা।” বরুণবাবু বর্তমানে চুঁচুড়া সদর থানায় রয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করেননি। পুলিশ সুপার অবশ্য বলেছেন, “এই ঘটনায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করা হবে। যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, শাস্তিও হবে।” |
|
|
|
|
|