|
|
|
|
বোমা-সহ ধৃত সিপিএম কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বোমাবাজির অভিযোগ তুলে সিপিএমের এক কর্মীকে ‘মারধর করে’ পুলিশে দিল তৃণমূলের লোকজন। আরামবাগের হিয়াৎপুরে ওই ঘটনায় প্রহৃত সিপিএম কর্মী বদ্যিনাথ মান্নাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে চারটি বোমা পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিপিএমের দাবি, বোমা রাখার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে বদ্যিনাথবাবুর বিরুদ্ধে। তাঁকে মারধরও করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন আরামবাগের চন্দ্রবান গ্রামে ফিরতে পারেননি বদ্যিনাথবাবু। গত ২৩ জানুয়ারি তৃণমূলের ‘আশ্বাসেই’ ফিরেছিলেন গ্রামে। সিপিএমের অভিযোগ, বুধবার মুণ্ডেশ্বরী নদীবাঁধের মাচায় বসেছিলেন তিনি। সে সময়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজির হয় তৃণমূলের কিছু লোক। ভয় পেয়ে পুড়শুড়ার যশার গ্রামের দিকে পালিয়ে যান বদ্যিনাথ। ধাওয়া করে তাঁকে ধরে মারতে মারতে আনা হয় হিয়াতপুর সেতুর উপরে। সেতুর গার্ডওয়ালে মাফলার দিয়ে বেঁধে রেখে মারধর চলে। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এক বালতি জলে ডুবিয়ে রাখা চারটি নিষ্ক্রিয় বোমা উদ্ধার হয়েছে।
সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির সদস্য উত্তম সামন্ত বলেন, “তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাসেই গ্রামে ফিরেছিলেন আমাদের দলের ওই কর্মী। শারীরিক ভাবে উনি অসুস্থও ছিলেন। অন্যায় ভাবে মারধর করা হল। বোমা রাখার মিথ্যা অভিযোগে পুলিশেও দিল তৃণমূলের লোকজন।” এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সাহাবুর আলি বলেন, “গ্রামে ফিরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল ঘরছাড়াদের। কিন্তু বদ্যিনাথ বোমাবাজি করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছিল। স্থানীয় মানুষ তাকে ধরে পুলিশে দেয়।” মারের অভিযোগ অস্বীকার করেন এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে, শুক্রবার সকালে পুড়শুড়ার বিজেপি নেতা তথা গত বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থী সুকুমার ধাড়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চিলাডাঙি গ্রামের বাড়ির পাশেই রাস্তায় ফেলে ওই বিজেপি নেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। প্রহৃত নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান বলেন, “পাড়াগত ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।” |
|
|
|
|
|