ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীচে ভ্যাট থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মেয়েটিকে কে বা কারা খুন করেছে, তা নিয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। জানা যায়নি বছর পনেরোর ওই কিশোরীর পরিচয়ও। লালবাজার সূত্রের খবর, ২৫ জানুয়ারি দুপুরে ওই ভ্যাটের সামনে মেয়েটির বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তার পরেই লেক থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। |
মৃত কিশোরীর পরিচয় জানতে এখন বস্তা থেকে পাওয়া স্কুল-ইউনিফর্ম ধরেই এগোতে চাইছে পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) দময়ন্তী সেন বলেন, “মেয়েটির দেহ পচে যাওয়ার ফলে শনাক্তকরণে সমস্যা হচ্ছে। ইউনিফর্মটি কোন স্কুলের, তা জানা গেলে তদন্তে সুবিধা হবে।” পুলিশ জানায়, ইউনিফর্মটির ছবি বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। পোশাকের লোগোর পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কথা বলা হচ্ছে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকার ইউনিফর্ম তৈরির কারিগরদের সঙ্গেও।
পাশাপাশি, কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, মুখ ও দেহ বিকৃত থাকা সত্ত্বেও মেয়েটির ছবি তুলে তা কলকাতা এবং লাগোয়া কয়েকটি জেলার সব থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ট্যাক্সির ডিকিতে চাপিয়ে দেহটি আনা হয়েছিল তার নম্বর জোগাড়ের চেষ্টাও করছে পুলিশ। খুন করে দেহটি কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়, সে প্রশ্নের উত্তরও স্পষ্ট হয়নি। তাঁদের সন্দেহ, মেয়েটি আদতে মফস্সল বা জেলার বাসিন্দা।
এক গোয়েন্দা-কর্তা জানান, সাধারণত দুষ্কৃতীরা অন্য কোথাও খুন করে দূরে মৃতদেহ পাচার করে ভোরে কিংবা গভীর রাতে। এ ক্ষেত্রে ভরদুপুরে দেহটি আনা হয়েছে। বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওই গোয়েন্দা-কর্তা বলেন, জনবহুল এলাকায় লোকজনও ব্যস্ত থাকেন। সেই সুযোগটাকেই হয়তো কাজে লাগাতে চেয়েছে দুষ্কৃতীরা।
|