নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খুব দ্রুত না উঠলেও দেশের শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি ক্রমশ ভালর দিকেই এগোচ্ছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশা, এর পর কাটবে লগ্নির অনিশ্চয়তা। বিশেষত যখন চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে মার্কিন অর্থনীতির ২.৮% বৃদ্ধির (গত দেড় বছরে সর্বোচ্চ) খবরে তা আরও চাঙ্গা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। শুক্রবারও সেনসেক্স বেড়েছে প্রায় ১৫৭ পয়েন্ট। থেমেছে ১৭,২৩৩.৯৮ অঙ্কে। যা গত ১১ সপ্তাহে সর্বোচ্চ। অন্য দিকে, গত চার সপ্তাহ ধরে ডলারের সাপেক্ষে বাড়ছে টাকার দামও। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এ দিনও এক লাফে ৭৭ পয়সা বেড়ে ডলারের দাম দাঁড়ায় ৪৯.৩১/৩২ টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেয়ার বাজারের মৌলিক উপাদানগুলি ক্রমশ মজবুত হতে থাকায় ফের উৎসাহিত হচ্ছেন লগ্নিকারীরা। যে যে বিষয়গুলি তাঁদের বিনিয়োগে উৎসাহ দিয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ক্রমশ বাড়তে থাকা টাকার দাম। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি করে এক সময় যা পড়ে গিয়েছিল প্রায় ১৮%। পরিস্থিতি বদলাতে থাকায় হারিয়ে যাওয়া জমির প্রায় ১৩% ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে ফলেছে ভারতীয় মুদ্রা।
নিয়ন্ত্রণে এসেছে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও। গত ১৪ জানুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ১.০৩%। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, এ বার এর হাত ধরে দ্রুত কমবে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধিও। ফলে থাকছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর সম্ভাবনা।
এর আগে ২০১২-তে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করলেও, এখন বিশেষজ্ঞ অজিত দে-র মত, “চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা থেকে বাজার বেরিয়ে আসতে শুরু করছে। ফলে উঁকি মারছে আশার আলো। চাকা যে সত্যিই ঘুরতে শুরু করেছে, মানছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তারাও। পাশাপাশি শীর্ষ ব্যাঙ্ক সম্প্রতি সিআরআর কমানোয় মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে বাজারে। এই পরিস্থিতিতে ছোট লগ্নিকারীদের অজিতবাবুর পরামর্শ, “ভাল শেয়ারে দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে লগ্নি করা উচিত এখন। তা হলে লোকসানের সম্ভাবনা থাকবে না বলেই আমার বিশ্বাস।” |