নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর ও লাভপুর |
হস্ত শিল্প সামগ্রী বিক্রি করার জন্য রাজ্যের আটটি জায়গায় হাট তৈরি করা হবে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া শুক্রবার বোলপুরে এ কথা জানান। তিনি বলেন, “পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ারে চারটি গ্রামীণ হাট এবং শান্তিনিকেতন, দুর্গাপুর, শিলিগুড়ি, সল্টলেকে চারটি শহুরে হাট খুব শীঘ্রই তৈরি করা হবে। সেখানে এলাকার হস্তশিল্পীরা তাঁদের সামগ্রী নিয়ে এসে বিক্রি করবেন। খুচরো ও বড় বিক্রেতারা সেখানে এসে কেনাকাটা করবেন।” তিনি জানান, কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সহায়তায় এই হাটগুলি তৈরি করা হবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। |
মানসবাবু একই সঙ্গে রাজ্যের সেচমন্ত্রীর দায়িত্বেও রয়েছেন। বোলপুরের আগে তিনি লাভপুরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় গ্রাম মিরিটি এলাকায় যান। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বাসিন্দারা তাঁকে জানান, প্রতি বছর বন্যায় নদী বাঁধ ভেঙে লাভপুরের মিরিটি এলাকার বহু গ্রাম জলপ্লাবিত হয়ে যায়। চরম দুদর্শায় তাঁদের দিন কাটে। তখন মন্ত্রী তাঁদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “কুয়ে নদীর বাঁধ সংস্কারের ব্যাপারে রাজ্যের সেচ দফতর যথাযথ উদ্যোগ নেবে।” সেখানে একটি স্যুইস গেট নির্মাণের কাজ হচ্ছে। মন্ত্রী তা পরিদর্শন করেন। রাজ্যের নদী সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় চার কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্যুইস গেটটি তৈরি করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নলহাটির বিধায়ক প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের সহায়তায় এ দিন বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে হস্ত ও তাঁত শিল্পীদের একটি শিবির হয়। মানসবাবু ওই শিবিরের উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন, হস্ত, তাঁত ও বস্ত্র দফতরের অধিকর্তা আশিসকুমার চক্রবর্তী, জেলা সভাধিপতি অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায়, সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, বোলপুর মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি প্রমুখ। রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে হস্ত ও তাঁত শিল্পীদের সচিত্র পরিচয়পত্র, শিল্পী ঋণপত্র, স্বাস্থ্য বিমাপত্র দেওয়া হয়। |