আনারসের মণ্ডপে ফলের প্রতিমা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
এক বিশাল আনারসের ভিতরে যাবতীয় মরসুমি ফল। আনারসটি কৃত্রিম। ফলগুলি কিন্তু আসল। সরস্বতী পুজোয় শহরবাসীকে তাক লাগিয়ে দিতে এ ভাবেই আনারসের আদলে মণ্ডপ এবং বিভিন্ন মরসুমি ফল দিয়ে প্রতিমা গড়েছেন দুর্গাপুরের নডিহা আনন্দপুরের বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দারা।
শহরের এক ধারে নডিহা আনন্দপুর। এলাকায় বছরভর তেমন বড় কোনও উৎসব নেই। তাই বছর ১২ আগে স্থানীয় বাসিন্দারা বেছে নেন সরস্বতী পুজোকে। তার পর থেকে প্রতি বছর নিয়ম করেই হচ্ছে পুজো। এ বার তাঁদের থিম-মরসুমি ফল। কী নেই সেই তালিকায়! আপেল, কমলা লেবু, কুল, খেজুর, বেদানা, আঙুর, শাঁকালু, ডাব, নারকেল, কলা। এমনকী মোরোব্বা, কাজু, চেরিও রয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক স্বপন বাদ্যকর বলেন, “আকার বা বাজেটে আমাদের পুজো অতি সামান্য। তবে এর মধ্যেই নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি।”
শিল্পী গ্রামেরই বাসিন্দা কার্তিক মাঝি। অভিনব এই ভাবনা তাঁরই। শিল্পীর কথায়, “আমি শুনেছি মরসুমি ফল খেলে অনেক রোগ ব্যাধি দূর হয়ে যায়। শরীর থাকে তরতাজা। কিন্তু অনেকেই এই সত্যটা জানেন না। পুজো দেখতে এসে তাঁদের মাথায় যাতে এই ভাবনা ঢোকে, তাই এই প্রয়াস।” |
শিল্পী জানান, ৬ ফুটের প্রতিমা বানানো হয়েছে মাটি, কাঠ, খড় দিয়েই। তার উপরে আঠা দিয়ে লাগানো হচ্ছে ফলগুলি। মূর্তির শাড়ি হয়েছে কমলালেবু দিয়ে, শাড়ির পাড় চেরি দিয়ে, আর সবুজ আঙুর দিয়ে ব্লাউজ। কিন্তু কেটে কেটে লাগানো হচ্ছে ফল। তা দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া বা পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সমস্যা এড়াতে বিশেষ এক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানালেন কার্তিকবাবু। এতে ১০ থেকে ১২ দিন সেই ফল তাজা থাকবে বলে দাবি তাঁর।
সরস্বতী পুজো ঘিরে সারা পাড়া মেতে ওঠে মিলন মেলায়। কিন্তু হঠাৎ সরস্বতী পুজোকে বেছে নেওয়ার কারণ কী? স্বপনবাবু বলেন, “প্রথম দিকে পাড়ার পড়ুয়ারা নিজেরা পুজো করত। পরে বড়রাও তাতে সামিল হন। তারপর থেকে বেড়ে যায় পুজোর জৌলুস। খুদে সৌমিকা, রাজর্ষি, বিনতা’রা জানাল, আগে তারা স্কুলের পুজোয় মেতে উঠত। গত কয়েক বছরে পাড়ার পুজোই তাদের ধ্যান জ্ঞান। |