মেডিক্যাল কলেজ গড়তে সায় কেন্দ্রের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
খোলনলচে বদলে হাওড়ার বালিটিকুরি ইএসআই হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরিণত করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বার আগামী আর্থিক বছর (২০১২-’১৩) থেকে নির্মাণকাজ শুরু করার দাবি জানাবে রাজ্য সরকার।
এ রাজ্যে ইএসআই হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রূপান্তরিত করার প্রস্তাবটি নতুন। এ বিষয়ে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার আগেই এ ব্যাপারে দেখাশোনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তার পরে সব বন্ধ হয়ে যায়। নতুন করে আবার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ওই হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করার যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তা অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় ইএসআই কর্পোরেশন। প্রকল্পের কাজ যাতে সামনের বছরেই শুরু করা যায়, সে জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা এক সম্মেলনে দাবি জানাবেন রাজ্যের প্রতিনিধিরা।”
পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি ইএসআই হাসপাতাল আছে। এর মধ্যে জোকার হাসপাতালটি সরাসরি চালায় ইএসআই কর্পোরেশন। বাকি ১৩টি রাজ্যের শ্রম দফতর। সরকারি সূত্রের খবর, জোকার হাসপাতালটিকে মেডিক্যাল কলেজ করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সব ঠিকঠাক চললে আগামী বছর জোকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চালুও হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া, মানিকতলার ইএসআই হাসপাতালে স্নাতকোত্তর এমবিবিএস কোর্স চালু হবে। এ জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজও প্রায় চূড়ান্ত। তবে, এর দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়ে দুই সরকারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
এরই পাশাপাশি, বালিটিকুরির ইএসআই হাসপাতাল নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। শ্রমমন্ত্রী জানান, মোট ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প। পুরোটাই ইএসআই কর্পোরেশনের দেওয়ার কথা। ওই হাসপাতালের মধ্যে ৪৭ একর জমি রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল করার জন্য ন্যূনতম ২৫ একর জায়গা প্রয়োজন। পূর্ণেন্দুবাবুর কথায়, “বিরাট জায়গা। ওই হাসপাতালে পরিকাঠামোর বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ছে। সবটাই নতুন করে তৈরি করতে হবে।”
বালিটিকুরির ওই হাসপাতালে রয়েছে ৩৫০টি শয্যা। প্রস্তাবিত হাসপাতালটি ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া কলেজ, নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আবাসন এবং হাসপাতালের জন্য একাধিক ভবন তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি নিয়ে রাজ্য আশাবাদী হলেও নির্মাণকাজ কবে থেকে শুরু হবে, তা জানেন না কেউ। |