খেলার টুকরো খবর
ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে খেলার পরিবেশ ফেরাতে হবে উচ্ছেদ অভিযান
হাওড়া-ডুমুরজলা স্টেডিয়ামকে দখলমুক্ত করতে ৩১ জানুয়ারির পরে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে সরকার। বুধবার ডুমুরজলায় গিয়ে এ কথা জানান রাজ্যের ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি জানান, দখলদারেরা ওই তারিখের মধ্যে উঠে না গেলে উচ্ছেদ অভিযান হবে। এ দিন মদনবাবুর সঙ্গে ডুমুরজলায় যান মধ্য হাওড়ার বিধায়ক ও রাজ্যের কৃষি ও বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। ছিলেন জেলাশাসক সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ-সহ হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা (এইচ আই টি)-র পদস্থ আধিকারিকেরা। স্টেডিয়ামের চারপাশ দেখে মদনবাবু বলেন, “৫৬ একরের এই স্টেডিয়ামের চারপাশে অবৈধ গ্যারাজ, দোকান, বালিগোলা, জেনারেটর রাখার ঘর গড়ে উঠেছে। চলছে নানা অবৈধ কাজ। মাঠের ভিতরে জায়গা দখল করে রেখেছে বিভিন্ন সংস্থা। খেলার পরিবেশ ফেরাতে পাঁচিল তোলা হবে।” ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, “হাওড়া পুরসভা হাওড়া ইন্ডোর স্টেডিয়াম দখল করে খেলাধুলো বন্ধ রেখে ভাড়া খাটাচ্ছে। ওই টাকা কোথায় যাচ্ছে, তারও হিসেব নেই। এ সব বন্ধ করা দরকার। এ নিয়ে মেয়রকে চিঠি দেব।” হাওড়ার মেয়র মমতা জয়সোয়ালকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “১৯৯১ সালে হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা স্টেডিয়াম তৈরি করে পুরসভাকে দেয়। পরে আমরা ভাড়া দিয়েছি। ওই টাকা শহরের উন্নয়নের কাজে লাগাচ্ছি। ক্রীড়া দফতর যখনই চাইবে, স্টেডিয়াম তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” জেলাশাসক সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ জানান, স্টেডিয়ামের ভিতরে যে সব সংস্থা বা ক্লাব আছে, সেগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ৩১ জানুয়ারি তাঁর বাংলোয় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ দিকে হাওড়া উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে খবর, ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে যে ২০০ কোটি টাকার ‘স্পোর্টস হাব’ হবে, তার কাজ শুরুর আগে এই জবরদখল উচ্ছেদ হল প্রথম পদক্ষেপ।

জেজুড় ইউনিয়ন ক্লাবে ক্রীড়ানুষ্ঠান
হুগলির হরিপালের জেজুড় ইউনিয়ন ক্লাবের নবম বার্ষিকী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা গত ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হল। জেজুড় উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই অনুষ্ঠান হয়। ক্লাবের সম্পাদক মুক্তি দে জানান, কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের শ’পাঁচেক গ্রামবাসী প্রতিযোগিতায় যোগদান করেন। সকালে এক মাইল দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। শেষ হয় ‘যেমন খুশি সাজো’ দিয়ে। এই প্রতিযোগিতায় তিন বছরের আয়ুস্মান মিত্র বিবেকানন্দ সেজে প্রথম হয়। প্রতিযোগিতার শেষে ১৫ জন দুঃস্থ মানুষকে কম্বল বিতরণ করা হয় বলে জানান উদ্যোক্তারা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না, জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী, জেজুড় পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল চক্রবর্তী প্রমুখ।

নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
বনগাঁ স্টেডিয়ামে গত রবিবার অনুষ্ঠিত হল নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। উদ্বোধন করে সংগঠনের জেলা সভাপতি গৌতম ঘোষ। পুরুষদের ৩০ বছর বিভাগে বসিরহাটের খুলনা পিসিএল বিদ্যাপীঠের শিক্ষক অনুপ কুমার সর্দার ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান পান। লং জাম্পে বনগাঁর নগেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠের অঘোর বাস্কে প্রথম হন। পুরুষদের ৩০ থেকে ৪০ বছর বিভাগে বারাসতের দরিয়াপুর হাই মাদ্রাসার প্রশান্ত শীল ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান পেয়েছেন। ওই বিভাগে বাগদা হাইস্কুলের বিপ্লব ঘটক লং জাম্পে প্রথম হন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, সংগঠেনর বনগাঁ মহকুমা সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুনীল সরকার প্রমুখ।

হাবরায় ম্যারাথন
হাবরার মছলন্দপুরে মণীষা সংস্থার দু’দিনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শেষ হল সোমবার। সহযোগিতায় ছিল মছলন্দপুর নাগরিক কমিটি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল ম্যারাথন দৌড়ের প্রতিযোগিতা। মগরা সেতু থেকে রাজবল্লভপুর হাইস্কুল পর্যন্ত এই দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষদের বিভাগে প্রথম হয়েছেন অসীম গুড়িয়া, দ্বিতীয় অনিমেষ বিশ্বাস, তৃতীয় বাপ্পা নন্দী। মহিলাদের মধ্যে প্রথম শম্পা গাইন, দ্বিতীয় সুমনা বিশ্বাস ও তৃতীয় সেরিনা খাতুন। আট দলের এক ক্রিকেট প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.