নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগডোগরা |
নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকায় কেবল রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানো নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাতেও জোর দিতে চান মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। এক সময়ে সিপিএমের শক্ত এই ঘাঁটিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন দার্জিলিং (সমতল) জেলা কংগ্রেসের এই সভাপতি। নির্বাচনে জয়ের পরে এলাকায় সংবর্ধনা, কর্মিসভার পালা গত কয়েক মাসে শেষ হয়েছে। এবার বিধায়ক তহবিলের টাকায় এলাকা উন্নয়নের পাশাপাশি এ বার নজর দিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও আদিবাসী বিকাশ পরিষদের আন্দোলনের জেরে উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত হয়ে যাওয়া এই এলাকায় সম্প্রীতি রক্ষায়। কংগ্রেসের এই বিধায়কের মতে, সভা-সমিতি, ভাষণের চেয়ে সম্প্রীতি রক্ষায় আরও কার্যকর হল এলাকার সমস্ত সম্প্রদায়ের তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার চর্চা বাড়ানো। এই লক্ষ্যেই বুধবার বাগডোগরার অদূরে কেষ্টপুরে স্থানীয় অঞ্চল কংগ্রেসের উদ্যোগে শুরু হল নকআউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। এলাকার সমস্ত চা বাগান, ক্লাব এমনকী, লাগোয়া নেপালের একটি দলও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে এদিন বিধায়ক বলেন, “আমার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি এলাকায় পর্যায়ক্রমে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে যাতে সমস্ত সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটতে পারে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি হল গ্রাম থেকে নবীন প্রতিভা তুলে আনা। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় আমরা সেই কাজও করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।” বিধায়ক হওয়ার আগেই পৃথক রাজ্যের দাবিতে তরাই এলাকা ক্রমশ উত্তেজনা প্রবণ হয়ে উঠলে বাগডোগরাকে কেন্দ্র করে জেলা কংগ্রেস সভাপতি এই ধরনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার সূচনা করেছিলেন। রাজীব গাঁধী নকআউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতা এলাকায় ভাল সাড়াও ফেলে। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার কেষ্টপুরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শঙ্করবাবু। চা বাগানের তরুণদের নিয়ে বাগডোগরায় প্রতি বছর ক্রিকেট ও ফুটবল প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বাগডোগরা অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি অমিতাভ সরকার বলেন, “প্রতি বছর ক্রিকেট ও ফুলবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে রাজনৈতিক সুবিধে কতটা পেয়েছি জানি না। তবে এলাকায় উত্তেজনা অনেকটা কমে গিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা বিধায়ক এলাকার অন্যত্রও কাজে লাগাতে চান। তাতে আমাদের সকলের লাভ হবে বলেই মনে করি।” চৌপুখুরিয়া অঞ্চল কংগ্রেস কমিটি এ বারের প্রতিযোগিতার আয়োজন। ওই অঞ্চল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি দেবু মল্লিক জানিয়েছেন, মোট ৪০টি ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। নকআউট পর্যায়ের ১৬ ওভারের এই প্রতিযোগিতা চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। এদিন উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেয় নেপালের ঝাপা জেলার মেচি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং মতিধর চা বাগান। নেপালের দলটি এদিন জয়ী হয়। অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিমল ঘোষ, জেলা কংগ্রেস নেতা সুনীল ভৌমিক-সহ অন্য উপস্থিত ছিলেন। |