কিছু সম্প্রদায় রাজ্যের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি-র তালিকাভুক্ত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই তালিকায় ঢোকার জন্য অনেক সম্প্রদায়ের আবেদনই পড়ে আছে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের কাছে। যে-সব সম্প্রদায়ের আবেদন পড়ে রয়েছে, সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের কাছে আর্জি জানালেন বাম নেতারা।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা, সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্রের নেতৃত্বে বাম প্রতিনিধিরা বুধবার মহাকরণে গিয়ে উপেনবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে ‘সহমত’। আর মন্ত্রী বলেন, “সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই আলোচনা হয়েছে। ওঁরা যে-সব দাবি করেছেন, আমরা সেই সমস্ত কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছি। বরং তার চেয়ে বেশিই কাজ করছি।”
সূর্যবাবু বলেন, “সাধারণ ভাবে মন্ত্রী সহমত। দেখা যাক, উনি কী করেন। প্রয়োজনে আবার দেখা হবে। উনি বলেছেন, আমাদের (বাম) জমানার ভাল কাজগুলি রক্ষা করা হবে।” সূর্যবাবুরা জানান, রাজ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের কাছে এ-পর্যন্ত ২০৫টি সম্প্রদায়ের আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১০৮টি সরকারি ভাবে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই। ৩৩টি সম্প্রদায়ের আবেদন কমিশনের সুপারিশ-সহ দফতরে পড়ে রয়েছে। তার আগের বিভিন্ন স্তরে আটকে আছে ৬৪টি সম্প্রদায়ের আবেদন।
সূর্যবাবু বলেন, “ওই সব আবেদনের দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। তবে কোনও ভাবেই আপস করা উচিত হবে না।” তিনি জানান, পঞ্চায়েতে ওবিসি-র জন্য সংরক্ষণের যে-নীতি বামফ্রন্ট সরকার গ্রহণ করেছিল, এ বার তা কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়। কোন এলাকায় কোন ওবিসি-র জনসংখ্যা বেশি, সেটা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে। বাম প্রতিনিধিদলের তরফে জানানো হয়েছে, চাকরিতে সংরক্ষণের নীতি প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকারি স্তরেই কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ওবিসি শংসাপত্র বিলির জন্য শিবিরের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। এই সব বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সূর্যবাবুর সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের আনিসুর রহমান, আরএসপি-র সুভাষ নস্কর, ফরওয়ার্ড ব্লকের বিশ্বনাথ কারক, সিপিআইয়ের আনন্দময় মণ্ডল প্রমুখ বিধায়ক। উপেনবাবুর দাবি, “আমরা গত ডিসেম্বরেই ৫০ হাজার আবেদনকারীকে ওবিসি শংসাপত্র দিয়েছি। আট মাসের জায়গায় এখন চার মাসেই শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে।” |