টুকরো খবর
স্ত্রী খুনে ধৃত স্বামী-সহ দুই
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দাহ করে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী ও খুড়শ্বশুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার বিক্রমডিহি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম টুসু কর্মকার (২৬)। গত শনিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে বধূটির মৃত্যু হয়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন টুসুদেবীর দাদা জিতেন কর্মকার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই রাতেই বধূর স্বামী সঞ্জয় কর্মকার ও খুড়শ্বশুর বিশ্বনাথ কর্মকারকে গ্রেফতার করে। বুধবার ধৃতদের খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৩ দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার বাসিন্দা টুসুর সঙ্গে ২০০৬ সালে বিয়ে হয়েছিল রানিবাঁধের বিক্রমডিহি গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় কৃষিজীবী সঞ্জয়ের। দম্পতির সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। জিতেনবাবু বলেন, “রবিবার সকালে হঠাৎ ফোন করে সঞ্জয় জানায় যে টুসু আগের রাতে মারা গিয়েছে। দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক নানা কারণে বোনের উপরে অত্যাচার করত সঞ্জয়ের পরিবারের লোকজন। তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা টুসুকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে। প্রমাণ লোপাটের জন্যই আমাদের না জানিয়ে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” রানিবাঁধ থানার আই সি আজম আলি বলেন, “ওই বধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মৃতার দাদা অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ পোড়ানোর ঘটনায় কয়েকজন গ্রামবাসীকে খোঁজা হচ্ছে।

টাকা চেয়ে হুমকি প্রধান শিক্ষককে
স্কুল চলাকালীন প্রধান শিক্ষককে সাদা থান পাঠিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানবাজারে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে হারাদা প্রাথমিক স্কুলে। ওই দিন সন্ধ্যায় বান্দোয়ান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আতঙ্কে ওই প্রধান শিক্ষক কেশরা গ্রামের বাসিন্দা নীরদচন্দ্র টুডু বুধবার থেকে স্কুল আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার ঘটনার সুত্রপাত প্রায় দেড় মাস আগে। ২০১১-এর ৯ ডিসেম্বর নীরদবাবু ডাক মারফত মাওবাদীদের নামে একটি চিঠি পান। তাতে, অবিলম্বে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাওয়া হয়। না দিলে পরিনাম ভয়ঙ্কর হবে বলে হুমকি ছিল। নীরদবাবু বলেন, “প্রথমে ওই চিঠিকে গুরুত্ব দিইনি। এর ঠিক চার দিন পরে ১৩ ডিসেম্বর হুমকি ফোন পাই। টাকা না পেলে বউকে সাদা থান পরার জন্য তৈরি থাকতে বলবে। ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই টাকা লাগোয়া জঙ্গলের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসতে হবে।” স্কুলের গ্রামশিক্ষা কমিটির সভাপতি তথা কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিল হাঁসদা বলেন, “নীরদবাবু ঘটনাটি আমাকে খুলে বলেন। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানাতে বলি।” স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “মঙ্গলবার আমরা স্কুলে ছিলাম। ওই সময় নীরদবাবুর ফোন আসে। উনি স্কুলের বারান্দায় চলে যান। দেখি ওনার চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।” পুলিশের দাবি, ফোনে নিজেদের মাওবাদী বলে উল্লেখ করলেও হুমকি চিঠি ও ফোনের পিছনে মাওবাদীরা নেই বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে। আগে জানালে ফোনের সূত্র ধরে ওদের ধরা সহজ হতো। অভিযোগ জানাতে শিক্ষক দেরি করেছেন। তদন্ত চলছে।

সেতুর শিলান্যাস

নতুন সেতু নির্মাণের শিলান্যাস করলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দফতরের মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। মঙ্গলবার রঘুনাথপুর ও নিতুড়িয়া থানার সীমান্তে ঝাড়ুখামার গ্রামের কাছে এই শিলান্যাস হয়। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪১ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার চওড়া সেতুটি করতে খরচ পড়বে ২ কোটি ৫৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত পুরুলিয়া বরাকর রাজ্য সড়কের ঝাড়ুখামার মোড়ে অবস্থিত পুরনো এই সেতুটি ২০০৯ সাল থেকে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। আন্তঃজেলা যোগাযোগ রক্ষাকারী এই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কের উপর সেতুটি বেহাল হয়ে পড়ায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পাশে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করেছিল পূর্ত দফতর। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ায় একটি আলাদা সেতু নির্মাণের দাবি ওঠে। রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি বলেন, “বিধায়ক হওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলেই সেতুটি নির্মাণের দাবি জানিয়ে ছিলাম।” সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেয় পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে পুরুলিয়ার জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ বলেন, “ওই সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানোর দশদিনের মধ্যে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ও অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।” শিলান্যাস করে মন্ত্রী অভিযোগ করেন, “আগের রাজ্য সরকার এই দফতরটিকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল। আগে বছরে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হত। আমাদের সরকার এই দফতরের বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ তিনগুণ বাড়িয়েছে। পুরুলিয়ার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা।” তিনি জানান, দৃঢ়তার সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করাই পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের লক্ষ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.