|
|
|
|
শিবির করে ধান কেনা হল পাথরপ্রতিমায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাথরপ্রতিমা |
সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকে। বুধবার হাসপাতাল মোড়ে এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে ৩৪ কুইন্ট্যাল ধান কেনা হয়। চাষিদের হাতে চেক তুলে দেন মন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গৌরী হালদার, বিধায়ক সমীর জানা, বিডিও অচিন্ত্য হালদার প্রমুখ।
আশপাশের এলাকা থেকে জনা কয়েক চাষি এসেছিলেন। কেউ দশ কুইন্ট্যাল, কেউ পাঁচ কুইন্ট্যাল, কেউ আরও কম ধান এনেছেন। দিগম্বরপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা রবিরাম দাস, শম্ভু পন্ডারা প্রান্তিক চাষি। সামান্য জমিজমায় ধান ফলিয়েছেন। তাঁরা বলেন, “গ্রামে ফড়েদের হাতে ধান তুলে দিলে কুইন্ট্যাল-প্রতি ৭৫০-৮০০ টাকার বেশি দাম পাওয়া যায় না। এখানে সরকারি দাম কুইন্ট্যাল প্রতি ১০৮০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এই কর্মসূচি জারি থাকলে ভাল।” স্থানীয় কৃষকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, নিয়মিত আরও বেশি করে ধান না কিনলে কোনও লাভ নেই। এ দিনের অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ফের দাবি করেন, চাষির মৃত্যু নিয়ে ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’ হচ্ছে। পরিস্থিতি আদৌ এমন নয়। সারের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, দাম রাজ্য সরকার বাড়ায় না। এ জন্য দায়ী কেন্দ্র সরকার। তবে সারের কালোবাজারি রুখতে প্রশাসন তৎপর বলে জানিয়েছেন তিনি। কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সারের কালোবাজির ঘটনায় গোটা রাজ্যে ৭২০০ জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েক জন সরকারি আধিকারিক সাসপেন্ডও হয়েছেন।
ব্লক অফিসে এক অনুষ্ঠানে ৩২০ জন ভূমিহীনের হাতে পাট্টা তুলে দেন দুই মন্ত্রী। ১১ জনকে ভূমিদান প্রকল্পে ১৫ শতক করে জমিও দেওয়া হয়। পুষ্প সর্দার, কমলা হালদারেরা বলেন, “আমাদের জমিজমা নেই। এত দিন বাঁধের উপরে কোনও মতে ছাউনির তলায় থাকতাম। এখন জমি পেয়ে বাড়ি বানাব।”
আয়লার স্মৃতি সুন্দরবনের এই এলাকার মানুষের কাছে এখনও টাটকা। শ্যামলবাবু বলেন, “আয়লায় সুন্দরবনের নদীবাঁধের প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। এখনও বেশ কিছু বাঁধের সংস্কার প্রয়োজন। বর্ষার আগে সেই কাজ শেষ করা দরকার।” |
|
|
|
|
|